সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে। খাটিয়া বৈঠক করেও দুর্গ রক্ষা করতে পারেননি কংগ্রেসের যুবরাজ। তাঁর নেতৃত্বে মণিপুর, গোয়াতেও মুখ পুড়েছে দলের। এ রাজ্যেও অবস্থা তথৈবচ। হাতে রইল শুধু পেনসিল, থুড়ি পাঞ্জাব। তবে হাল ছেড়ো না বন্ধু-র স্টাইলেই আশা রাখছিলেন কংগ্রেসের তাবড় নেতারা। পরের মাসের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে মাথায় রেখে ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘর গোছাতে চাইছিল কংগ্রেস। ১০ জনপথে, সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে হাত শিবির। তবে এবারও শিকে ছিঁড়ল না যুবরাজের। কংগ্রেসের সভাপতি পদে এবারও বসা হল না রাহুলের।
[পাঞ্জাবে জঙ্গি হানার আশঙ্কা, জারি লাল সতর্কতা]
বাঁধাধরা গতেই মোদি সরকারের সমালোচনা করে রণে ভঙ্গ দিল কংগ্রেস। সঙ্গে উঠে এল নারী নির্যাতন, দলিত শোষণ নিয়ে সমালোচনা। ইসরোর কৃতিত্ব তাদের আমলের পরিকল্পনার ফসল বলেও সাংবাদিক বৈঠকে দাবি তুললেন মুখপাত্র গুলাম নবি আজাদ। তবে আসল কথা শোনা গেল না।
[কমবে তাপমাত্রা, স্বস্তি দিতে আসছে বৃষ্টি]
গত বছরের ৭ই নভেম্বরের বৈঠক থেকেই দাবি উঠছিল রাহুল গান্ধীকে সভাপতি করার। কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতির সেই বৈঠকে এ ব্যাপারে সহমত হয়েছিলেন কংগ্রেসের অনেক নেতাই। তবে বৈঠকের পরে অন্য ছবি সামনে আসে। কংগ্রেস মুখপাত্র দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছিলেন, সভানেত্রী সোনিয়া অসুস্থতার কারণে বৈঠকে ছিলেন না। আর তাঁর অনুপস্থিতিতে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নিতে চাননি তাঁরা।
[শিশুকে ছুড়ে ফেলে চলন্ত অটোয় গণধর্ষণ মহিলাকে]
তবে এবার কি হল? সোনিয়া ছিলেন, রাহুল ছিলেন। সুযোগও ছিল। তবু কোনও সাহসী পদক্ষেপ নিতে চাইল না দল। এবারও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে রাহুল গান্ধীকে। কুড়ি বছর হয়ে গেল, কংগ্রেস সভানেত্রীর পদে রয়েছেন সোনিয়া। দিন কয়েক আগেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, উপযুক্ত সময়েই রাহুলকে সভাপতি করা হবে। সেদিকেই তাকিয়ে আপাতত কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। হয়তো রাহুল নিজেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.