ছবিটি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনভদ্রে খোঁজ পাওয়া সোনার পরিমাণ অল্প। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের দাবি উড়িয়ে এমনটাই জানালেন জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া(GSI)-র অধিকর্তা এম শ্রীধর। শনিবার কলকাতায় অবস্থিত GSI-র সদর দপ্তরে বসে এই মন্তব্য করেন তিনি। আর রবিবার তাঁর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
Why is our government so obsessed with tonne-mann-dhan? First it was the 5 million tonne economy from the HM. Then the 3350 tonne reserve gold from UP which turned out to be merely 160 kgs. The Govt must really tone down the tonne-tana-tonne talk a bit. https://t.co/OSVhJxxg0X
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) February 23, 2020
তিনি টুইট করেন, ‘কেন আমাদের সরকার টন-মন-ধন নিয়ে এত অন্ধকারে পড়ে আছে? প্রথমে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৫ মিলিয়ন টন অর্থনীতির কথা বলেছিলেন। তারপর ৩ হাজার ৩৫০ টন সোনা উত্তরপ্রদেশের মাটির তলায় চাপা পড়ে আছে বলে দাবি করে পরে ১৬০ কেজি সোনার খবর জানাল। সরকারের উচিত টন-টানা-টন সম্পর্কে একটু কম কথা বলা।’
গত শুক্রবার সোনভদ্র জেলার খনি আধিকারিক কে কে রাই দাবি করেন, জিএসআই ও রাজ্যের ভূতত্ত্ব এবং খনি দপ্তর সম্প্রতি দুটি সোনার খনির দুটির খোঁজ পায়। সোনভদ্র জেলার সোনপাহাড়িতে খোঁজ পাওয়া সোনার খনিতে ২ হাজার ৯৪৩ টন ও হারদি ব্লকে সন্ধান খনি ৬৪৬ টন সোনা আছে। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই হইচই শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে।
কিন্তু, একদিনের মধ্যে তাঁর সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দেন জিএসআইয়ের অধিকর্তা এম শ্রীধর। পাশাপাশি সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলার দুটি জায়গায় সোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এটা সত্যি। কিন্তু, যে পরিমাণ সোনার কথা উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পর্কে জিএসআই কিছু জানে না। তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, খনন কার্য চালিয়ে ওই অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু, ব্যবসায়িকভাবে তা তোলা হলে খুব একটা লাভজনক হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.