ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে (LockDown) সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে তাঁদের। ফেরার পথে একের পর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন তাঁরা। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। লকডাউনের মাঝে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers) মৃত্যু হয়েছে, তা জানেই না শ্রমমন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment)। বাদল অধিবেশে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়াড় (Santosh Kumar Gangwar)।
সোমবার থেকে ১৮ দিনের জন্য শুরু হয়েছে বর্ষাকালীন অধিবেশন (Monsoon Session)। মহামারীর মাঝেই কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মেনে সকাল ৯ টায় লোকসভায় (Lok Sabha) অধিবেশন শুরু হয়। শোকপ্রস্তাবের পর একঘণ্টার জন্য অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। পরে দেশের করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন নিয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। সেখানেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
লকডাউনের সময় বাড়ি ফেরার পথে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যে কতজন শ্রমিক ফিরেছে, সে সম্পর্কে কেন্দ্রের কাছে কি বিস্তারিত তথ্য আছে? লোকসভা অধিবেশন চলাকালীন শ্রম মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাছে তা জানতে চাওয়া হয়। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কি কোনও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র, তাও জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নের জবাবে শ্রম মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়াড় জানান, লকডাউনের সময় কতজন শ্রমিক মারা গিয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই। তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।
কেন্দ্রীয় সরকার কি পরিযায়ীদের সমস্যা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের সরাসরি জবাব আসেনি। বরং মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়াড় বলেন যে সবাই মিলে কেন্দ্র, রাজ্য, পৌর ও পঞ্চায়েত প্রশাসন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থারা মিলে করোনার বিরুদ্ধে লড়েছেন। তিনি আরও জানান, যাঁরা বাড়ি ফিরেছেন , তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিন কেন্দ্রের জবাব শুনে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কোনও পরিকল্পনা যে কেন্দ্রের ছিল না, তা এদিনের জবাবে স্পষ্ট হয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.