সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে এখনও ছড়ায়নি গোষ্ঠী সংক্রমণ। বৈঠকের পর স্বস্তির আশ্বাস রাজধানীর উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরই আতঙ্ক ছড়ায় দিল্লিবাসীর মনে। তাঁদের স্বস্তি দিতেই এই ঘোষণা উপ মুখ্যমন্ত্রীর।
মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধান। করোনা নিয়ে দিল্লিবাসীকে সাহস জোগানোর সময়ই ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হোম আইসোলেশনে যান রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তারপরই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে যায় দিল্লির জনসাধারণ। ‘আনলক ১’-এর শুরুতেই আপ প্রধানের শরীরে দেখা দেয় মারণ ভাইরাসের উপসর্গ। তাহলে সাধারণের কী হবে? দিল্লিবাসীর মন থেকে এই চিন্তা দূর করতে এদিন বৈঠক করেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও অন্যান্যরা। সেই বৈঠকের পরই মনীশ শিসোদিয়া জানান, “আমরা তখনই গোষ্ঠী সংক্রমণ বলতে পারি যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরা সংক্রমণের উৎস চিহ্নিত করতে পারবেন না। এমন অনেকগুলি ঘটনাই রয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস জানা যায়নি।”
দিল্লিতেও গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন কেন্দ্রের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলেন, এবিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারই। তাই কেন্দ্র না বলা পর্যন্ত দিল্লিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে একথা আমরা ঘোষণা করতে পারি না।” স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই কথার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া ফের জানান যে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের আধিকারিকরাই ঘোষণা করেছেন যে রাজধানীতে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি। তবে জুলাইয়ের শেষের দিকে রাজ্যে বাড়তে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সময় রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৫.৫ লাখের গণ্ডি! এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেন মনীষ শিসোদিয়া। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে তিনি দিল্লির কোভিড হাসপাতালগুলিতে ৮০ হাজার বেডের আগাম ব্যবস্থা করে রাখতে চান বলেও জানান।
By 15 June, there’ll be 44,000 cases & 6,600 beds will be needed. By 30 June we’ll reach 1 lakh cases & 15,000 beds will be required. By 15 July there’ll be 2.25 lakh cases & 33,000 beds will be needed. By 31 July, 5.5 lakh cases expected & 80,000 beds will be needed: Delhi Dy CM pic.twitter.com/F5iXDlgO7R
— ANI (@ANI) June 9, 2020
একদিকে দিল্লির ৫০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের উৎসের সন্ধান মিলছে না। অন্যদিকে জুলাইয়ের শেষে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন খোদ উপ মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে পরিস্থিতি যে আদপেও কতটা ভয়ঙ্কর তার হিসেব করেই প্রমাদ গুনছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.