সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাকা শরদ পওয়ারের সঙ্গ ছেড়ে দল ভেঙে এনডিতে যোগ দিয়ে বিশেষ লাভ হয়নি অজিত পওয়ারের। লোকসভা নির্বাচনে মাত্র একটি আসন পেয়ে কোনওমতে মুখরক্ষা হয়েছে তাদের। এদিকে মন্ত্রক ভাগাভাগিতেও এনসিপির রাজ্যসভার সাংসদ প্রফুল প্যাটেলকে নাকি একটি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেয় বিজেপি। মনমতো পদ না পেয়ে বিদ্রোহের ইঙ্গিত দিল এনসিপির অজিত শিবির। এনসিপি সাংসদ তথা দলের অন্যতম প্রধান নেতা প্রফুল প্যাটেল জানালেন, কিছুদিন দেখবেন তার পর পছন্দমতো পদ না পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর এহেন বার্তায় স্বাভাবিকভাবেই জলঘোলা হতে শুরু করেছে জাতীয় রাজনীতিতে।
মোদি সরকারের মন্ত্রিত্ব বন্টন প্রসঙ্গে প্রফুল জানান, “গত রাতে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল আমাকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পদ দেওয়া হবে। আমি আগে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলাম, তাই এটি আমার রাজনৈতিক জীবনে অবনতির সামিল। আমরা বিজেপি নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। এবং তারা আমাদের কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলেছে, তার পর বিষয়টি ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছে। আমরা আপাতত কিছুদিন অপেক্ষা করছি।” মোদি ৩-এর মন্ত্রিসভায় পদ নিয়ে প্রফুলের এহেন বার্তায় স্বাভাবিকভাবেই মারাঠা রাজনীতিতে জলঘোলা হতে শুরু করে। প্রশ্ন উঠছে তবে কী পছন্দসই মন্ত্রক না পেলে এনডিএ সঙ্গ ছাড়বেন প্রফুল। সেক্ষেত্রে ফের এনসিপি শরদ গোষ্ঠী ও এনসিপি অজিত গোষ্ঠীর এক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এনসিপি অজিত শিবিরে পদাধিকার বলে অজিতের পরেই যদি কেউ থাকেন তিনি প্রফুল। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বার্তায় স্বাভাবিকভাবেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এনসিপির মন্ত্রিত্ব নিয়ে ডামাডোলের মাঝেই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেন, ‘এনসিপি সাংসদকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীপদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি তা নিতে রাজি হননি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন একটি জোট সরকার গঠিত হয়, তখন সেখানে কিছু মানদণ্ড নির্ধারণ করা প্রয়োজন। কারণ সেখানে অনেকে থাকে। এক পক্ষের সব দাবি মেনে নেওয়া কঠিন।’ যদিও ফড়নবিস জানান, ‘পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে অবশ্যই মাথায় রাখা হবে প্রফুলের কথা।’
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে অজিত পাওয়ার বলেন, ‘প্রফুল্ল প্যাটেল কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন এর পর স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পদ নেওয়া ঠিক বলে মনে করি না আমরা। তাই বিজেপিকে বলেছি আমরা কয়েকদিন অপেক্ষা করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমরা পূর্ণ মন্ত্রক চাই।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের একটি লোকসভা এবং একজন রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন। আগামী দুই-তিন মাসে, আমাদের রাজ্যসভায় মোট তিনজন সদস্য থাকবেন এবং আমাদের সাংসদ সংখ্যা চার হবে। ৪ সদস্য নিয়ে মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রক দাবি করা কোনওভাবেই অন্যায্য দাবি নয়।’ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে পথে এগোচ্ছে তাতে আশংকার মেঘ কাটছে না মোদির মন্ত্রিসভায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.