Advertisement
Advertisement

Breaking News

দলাই লামা

চিনের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর কৌশল! দলাই লামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন না মোদি

তিব্বতের ধর্মগুরুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাননি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও।

No birthday wishes for Dalai Lama from PM Narendra Modi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 7, 2020 11:11 am
  • Updated:July 7, 2020 11:11 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সবে গালওয়ান, প্যাংগংয়ের মতো বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে চিনারা। উত্তেজনা স্তিমিত হয়ে সীমান্তে শান্তি ফেরার আভাস মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে বেজিংকে নতুন করে চটাতে চায় না ভারত। সম্ভবত সেই কূটনীতির অংশ হিসেবেই তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পর্যন্ত জানালেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও তিব্বতি ধর্মগুরুর ৮৫ তম জন্মদিনের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।

Dalai-Lama

Advertisement

১৯৫৯ সালে চিনা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তিব্বত থেকে দলবল সমেত পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন দলাই লামা (Dalai Lama)। তারপর থেকেই তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে মনে করে বেজিং। দলাই লামা বহুবার ভারতের সাহায্য নিয়ে চিনের হাত থেকে তিব্বতকে স্বাধীন করার চেষ্টা করেছেন। সেই নেহেরুর আমল থেকেই তাঁকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিনের কূটনৈতিক টানাপড়েন চলেছে। সম্প্রতি তাঁর ভারত ভ্রমণ নিয়েও আপত্তি তুলেছিল চিন। কূটনৈতিক মহলের মত, এই মুহূর্তে লাদাখ সীমান্তে যখন দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখন দলাই লামাকে কাছে টানার বার্তা দিয়ে ভারত আর চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাতে যেতে চাইছে না।

[আরও পড়ুন: চিনকে ধাক্কা দিয়ে এবার দলাই লামাকে ‘স্বাগত’ জানাল তাইওয়ান]

উল্লেখ্য, সোমবার ছিল দলাই লামার জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা না-জানালেও লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর আর কে মাথুর এদিন টুইট করে দলাই লামাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু (Pema Khandu), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান এবং কিরেন রিজিজু। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলাই লামাকে। আসলে আপাতত চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে দলাই লামার সখ্য এড়িয়ে চললেও তাঁকে বন্ধু বলেই মনে করে বিজেপি তথা আরএসএস। ক’দিন আগে চিনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে তাঁকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিল সংঘ পরিবার। সরকার অবশ্য এখন সেসব প্রস্তাবে আমল না দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মগুরুর থেকে দূরত্ব বজায় রাখারই চেষ্টা করছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement