সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার দেড়দিন পরও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। গ্রেপ্তার তো দূরের কথা, হামলাকারীদের সনাক্তও করা যায়নি। অথচ, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে মুখোশের আড়ালে কলেজ হস্টেলে ঢুকে কারা হামলা চালিয়েছে। এই ভিডিও ও ছবি দেখার পরও এখনও কাউকে সনাক্ত করা যায়নি। যার ফলে বাধ্য হয়েই পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
এখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জেএনইউয়ে (Jawaharlal Nehru University) আক্রান্ত পড়ুয়াদের স্পষ্ট অভিযোগ এবিভিপির বিরুদ্ধে। যে ছবি ও ভিডিওগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, তা সংঘ পরিবার ঘনিষ্ট কয়েকজন ছাত্রনেতার বলে দাবি ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশি ঘোষের। অথচ, ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরও কাউকে সনাক্ত করা গেল না কেন? এ প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও উত্তর পুলিশের কাছে নেই। দিল্লি পুলিশের দাবি, তাঁরা ছবি দেখে কয়েকজনকে সনাক্ত করেছে। তবে, এখনও তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। সেক্ষেত্রে, যাঁদের সনাক্ত করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন দায়ের হবে না? কেন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
দিল্লি পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন তাঁরা প্রথম অভিযোগ পায় বিকেল চারটের আগে আগে। সেসময় ক্যাম্পাসে গিয়ে তাঁরা দেখে কিছু বহিরাগত কয়েকজন পড়ুয়াকে মারধর করছে। এদের তৎক্ষণাৎ ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে পুলিশের দাবি। দ্বিতীয় দফায় পুলিশের কাছে ফোন যায় সন্ধে সাতটা নাগাদ। সেসময় তাঁরা ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখে, হস্টেলের ভিতরে ভাঙচুর চালাচ্ছে মুখোশধারী কিছু দুষ্কৃতী। সেসময় ৫০ থেকে ৬০ জন দুষ্কৃতী ভিতরে তাণ্ডব চালাচ্ছিল। পুলিশ তখন ভিতরে না গিয়ে মাইকে দুষ্কৃতীদের সতর্ক করে। দুষ্কৃতীদের নিরস্ত হতে বলা হয়। এমনকী বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্যাম্পাসের ভিতর ও বাইরের লাইট। সেই সুযোগে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। হঠাৎ এই সময় লাইট কারা বন্ধ করল? বা পুলিশ কেন তৎক্ষণাৎ ভিতরে ঢুকল না? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.