সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কদিন আগেই রাজ্য বিধানসভায় পাশ করিয়েছেন এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব। এনপিআর হলেও সেটা বিজেপির আনা ফরম্যাটে নয়, ইউপিএ’র আনা ফরম্যাটে হবে, ঘোষণা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও বেড়েছে হঠাৎ করেই। একাধিকবার বিধানসভায় তেজস্বীর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এসব দেখে রাজনৈতিক মহলে ধারণা তৈরি হয়েছিল, বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবারও শিবির বদল করতে পারেন নীতীশ কুমার। কিন্তু, সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি খারিজ করে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ নেতা জানিয়ে দিলেন, তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচন লড়বেন বিজেপির সঙ্গে জোট করেই। তবে, তাতে মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আগেই ঘোষণা করেছেন, বিহারে নীতীশের নেতৃত্বেই লড়বে এনডিএ জোট। মাস ছয়েক আগে পর্যন্তও এ বিষয়ে কোনও সংশয় ছিল না। হঠাৎ সংশয় তৈরি হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর। সংসদে সমর্থন করার পরও বিহারে এসে উলটো গাইতে শুরু করলেন নীতীশ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখার পর তিনি হঠাৎ করেই বিধানসভায় এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব পাশ করিয়ে দেন তিনি। দেখা করেন তেজস্বী যাদবের সঙ্গে। আরজেডির তরফে একাধিক শীর্ষ নেতা তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই সময়ই বললেন, নীতীশ যদি ফের মহাজোটে শামিল হতে চান, তাহলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে। এসব দেখেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা তৈরি হয়েছিল, দিল্লির ফলাফলে ভীত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ফের পালটি খেতে পারেন।
কিন্তু, আপাতত সেই সব সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেন জেডিইউ নেতা। তিনি ঘোষণা করলেন, “বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন কয়েকটা বৈঠক নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছিল।” এইসব বিভ্রান্তি ওড়াতে নীতীশের বক্তব্য, “আমার এবারের নির্বাচনী প্রচারের মূল হাতিয়ার হবে, আমার ১৫ বছরের শাসন বনাম আরজেডির ১৫ বছরের শাসন।” বিজেপির সঙ্গে থাকার ব্যপারটি নিশ্চিত করার পর সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করেন তিনি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই দেশ সবার। হিন্দুদের, মুসলিমদের, শিখদের, খ্রিষ্টানদের, বৌদ্ধদের। সবার সমান অধিকার আছে। তবে, এই অনিশ্চয়তা কাটা উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.