সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবছরই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। হয়তো সেই কারণেই রাজনৈতিক তরজা ক্রমেই বেড়ে চলেছে সেই রাজ্যে। মঙ্গলবারও বিধানসভা যেন রণক্ষেত্রে পরিণত হল। বাদানুবাদে জড়ালেন লালু জায়া রাবড়ি দেবী ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। জেডিইউ প্রধান রাবড়িকে খোঁচা দিলেন রাজনৈতিক ময়দানে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে আক্রমণ করে।
এদিন দলীয় পতাকার সবুজ রংকে মাথায় রেখে ওই রঙের ব্যাজ পরে বিধানসভার কক্ষে প্রবেশ করেন আরজেডি বিধায়করা। স্লোগান তুলতে থাকেন তেজস্বী সরকারের হয়ে। তাঁদের দাবি, ২০২৩ সালে তেজস্বী উপমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু পরে নীতীশের দল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ দিলে তেজস্বীর থেকে সেই কৃতিত্ব ‘চুরি’ হয়ে যায়।
আর এতেই চটে যান নীতীশ। বিক্ষোভরত বিধায়কদের দেখিয়ে সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে থাকেন, ”একবার চেয়ে দেখুন দৃশ্যটা। এটা কেবল এই দলটাতেই রয়েছে।” এরপর রাবড়ি দেবীর উদ্দেশে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলে ওঠেন, ”আরে তুমি বসো। তোমার কিছুই নেই, যা আছে তোমার স্বামীর। তোমার কী আছে?” প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন রাবড়ি দেবী। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির জেরে সেই সময় গদি ছাড়তে বাধ্য হন লালুপ্রসাদ যাদব। সেপ্রসঙ্গ তুলে রাবড়িকে দেখিয়ে দেখিয়ে নীতীশ বলেন, ”এই বেচারি মহিলা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। তবে স্বামী যখন বিপদে পড়েছিল তখন তাকে সাহায্য করেছিল।”
সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বাগযুদ্ধে জড়াতে দেখা গিয়েছে রাবড়ি-নীতীশকে। কয়েকদিন আগেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী খোঁচা দিয়ে বলেন, লালু কিংবা রাবড়ি কেউই বিহারের মহিলাদের জন্য কিছুই করেননি। এমনকী বিহারের মহিলাদের পরনে পোশাকই থাকত না। সঙ্গে সঙ্গে রাবড়ির খোঁচা, তাহলে কি নীতীশের পরিবারের মহিলারা নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াত। এমনকী, নীতীশকে ‘ভাংড়ি’ অর্থাৎ ভাংখোর বলেও খোঁচা দেন রাবড়ি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.