সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেমনটা মনে করা হচ্ছিল, সেই পথেই এগোচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। জাতিগত জনগণনার (Caste Census) রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিহারে সংরক্ষণ পদ্ধতি আমূল বদলে ফেলতে চাইছেন তিনি। সংরক্ষণ বাড়ছে তফসিলি জাতি, অনগ্রসর জাতি এবং অতি অনগ্রসর জাতির। আবার নতুন করে সংরক্ষণ চালু করা হচ্ছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্যও।
জাত সমীক্ষার দ্বিতীয় রিপোর্ট পেশের সঙ্গে সঙ্গেই নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) দাবি করেছেন, বিহারের জনসংখ্যার সঙ্গে সংরক্ষণের কোনও সামঞ্জস্য নেই। তাই কোনও কোনও ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বাড়াতে হবে। বিহার সরকার অন্যান্য অনগ্রসর জাতি অর্থাৎ ওবিসি এবং অতি অনগ্রসর (OBC) জাতি অর্থাৎ ইবিসিদের জন্য সংরক্ষণ ২৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করতে চাইছে। পাশাপাশি, তফসিলি জাতির (এসসি) সংরক্ষণ ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। আবার উলটো দিকে তফসিলি উপজাতির জনসংখ্যা কম থাকায় উপজাতির সংরক্ষণ অনেকটা কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে সেটা ২ শতাংশ করা হচ্ছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে নীতীশ কুমার আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্যও আলাদা সংরক্ষণের সুপারিশ করেছে। বিহার সরকার অনগ্রসরদের জন্যও ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চাইছে। আসলে ওই জাতি সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে বিহারের ৩৪ শতাংশ পরিবারের মাসিক আয় ৬ হাজার টাকারও কম। সেটাকে মাথায় রেখেই এই সংরক্ষণের সুপারিশ। শীঘ্রই বিহার বিধানসভায় এই বাড়তি সংরক্ষণগুলো বিল আকারে আনা হবে।
সবকটি সুপারিশ কার্যকর হলে বিহারে সংরক্ষণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৭৫ শতাংশ! যা ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। কিন্তু নীতীশের যুক্তি রাজ্যের জনসংখ্যার হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এই সংরক্ষণ প্রয়োজন। বিরোধীরা অবশ্য বলছে, এই সংরক্ষণ চালু হলে ভোট রাজনীতির কাছে মেধা মার খেয়ে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.