Advertisement
Advertisement
One Nation One Election

‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল পেশে গরহাজির গড়করি-সহ ২০ সাংসদ, ‘শাস্তি’র মুখে বাংলার কারা?

হুইপ জারি সত্তেও সংসদে না আসায় নোটিস পাঠানো হতে পারে অনুপস্থিত সাংসদদের।

Nitin Gadkari with 19 BJP MPs skip One Nation One Election session
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:December 18, 2024 12:29 pm
  • Updated:December 18, 2024 2:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির তরফে হুইপ জারি করে জানানো হয়েছিল, ‘এক দেশে, এক ভোট’ (One Nation One Election) বিল পেশের সময় সংসদে উপস্থিত থাকতে হবে সব সাংসদদের। তবে সেই নির্দেশ অমান্য করে মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন না ২০ জন বিজেপির মন্ত্রী ও সাংসদ। এই তালিকায় ছিলেন বাংলার একাধিক সাংসদ। সূত্রের খবর, নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে এই সাংসদদের নোটিস পাঠাতে চলেছে বিজেপি।

নির্ধারিত সময় মেনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সংসদে এক দেশ, এক নির্বাচন বিল লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইন প্রতিমন অর্জুনরাম মেঘওয়াল। নিয়ম মেনে তার আগে এক দফা ভোটাভুটি হয়। বিজেপি আগে থেকেই জানত যে সংবিধানের ১২৯তম সংশোধনী পেশ মোটেও সহজ হবে না। ভোটপ্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই দলের সব সাংসদদের এদিন লোকসভায় উপস্থিত থাকার কথা বলে হয়েছিল। রীতিমতো হুইপও জারি করা হয়েছিল। তারপরেও মঙ্গলবার অনুপস্থিত থাকেন, নীতীন গড়করি, গিরিরাজ সিং, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো মন্ত্রীরা। বাংলা থেকে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর, জগন্নাথ সরকার। সব মিলিয়ে ২০ জন সাংসদ অনুপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, কেন এমন বিশেষ দিনে হুইপ জারি সত্তেও এত জন সাংসদ অনুপস্থিত তা জানতে সাংসদদের নোটিস পাঠানো হবে। অনুপস্থিতির পর্যাপ্ত কারণ না জানালে তাঁদের উপর নেমে আসতে পারে শাস্তির খাঁড়া।

Advertisement

তবে ২০ জন সাংসদ অনুপস্থিত থাকলেও বিল পেশ হতে খুব একটা সমস্যা হয়নি শাসক দলের। বিল পেশের পক্ষে ভোট পড়ে ২৬৯টি, বিপক্ষে ১৯৮টি। যদিও সরকারের ধীরে চলো নীতিতে বিল পাশ করানো হয়নি। বরং দুটি বিল পাঠানো হয়েছে সংসদের যৌথ কমিটিতে (জেপিসি)। সংসদে আলোচনা পর্বে বিলের বিরোধিতায় সরব হতে দেখা যায় ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের। চড়া সুরে বিলটির বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিলটি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর বিলের বিরোধিতায় সরব হন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি। তিনি বলেন, এই পদ্ধতি গণতন্ত্রের মূল ভাবনার পরিপন্থী। পাশাপাশি সপা সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, যারা একসঙ্গে ৮ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করাতে পারছে না, তারা কোন মুখে গোটা দেশে একসঙ্গে নির্বাচনের কথা বলে। এর পর বক্তব্য রাখতে উঠে এই বিলের বিরুদ্ধে বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে তুমুল হই হট্টগোল বেঁধে যায় লোকসভায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement