সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েই লাল ফিতের গেরো কাটাতে উদ্যোগী নির্মলা সীতারমণ। মান্ধাতা আমলের নীতি পালটে ‘ডু ইট নাও’ পথে হাঁটতে চলেছে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। নির্মলার হাত ধরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে।
[ইজরায়েলের অস্ত্রেই রোহিঙ্গা জঙ্গি নিকেশ অভিযান মায়ানমারের]
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রতিদিন সেনার তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন সীতারমণ। আগে এসবের বালাই ছিল না। দ্রুত কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও সেনার তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ , লালফিতের ফাঁস ও আমলাতন্ত্রের জালে জর্জরিত দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। যার জেরে সময়মতো প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র কিনতে বাধার মুখে পড়ছে সেনাবাহিনী। নতুন মন্ত্রীর জমানায় এবার পরিকাঠামোয় পরিবর্তন এনে অস্ত্র কেনার গতি বাড়বে। সেনার অস্ত্রশস্ত্র কেনার ভার থাকে ‘ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল’ (ডিএসি) এর হাতে। সেখানে ঠিক করা হয় কোন বাহিনীর জন্য কী কী অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। কাউন্সিলের সন্মতি পাওয়ার পর অস্ত্রের তালিকা যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। তারপর তা পাঠানো হয় কেন্দ্রের কাছে। এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তাই এবার কয়েক দিন পরপর ‘ডিএসি’র বৈঠক ডেকে সেনার প্রয়োজন খতিয়ে দেখবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু ক্ষেত্রে ‘ডিএসি’কে আর্থিক স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে।
[চিনা ‘চক্রান্ত’ ফাঁস করলেন সেনাপ্রধান রাওয়াত, চটে লাল বেজিং]
তিনি কাজের মানুষ, কাজ করতেই এসেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েই তা বুঝিযে দিয়েছিলেন সীতারমণ। তাঁর পদ সামলানোর কয়কদিন পরই ‘মিলিটারি পুলিশ’ বাহিনীতে ৮০০ মহিলাকর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করে সেনাবাহিনী। ‘কমব্যাট রোল’এ মহিলাকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াও গতি পেয়েছে।
এখন রোজ প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। শুধু অস্ত্র কেনাই নয়, পরিকাঠামোর জন্য জমি জট ছাড়াতেও উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এক রিপোর্টে বলা হয়েছে জমি জটের জেরে অরুণাচল প্রদেশে ‘আকাশ’ মিসাইল মোতায়েন করতে পারছে না সেনাবাহিনী। ফলে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে সেনার প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সেরে ফেলেছেন সীতারমণ। জওয়ানদের বিভিন্ন সমস্যা থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে, সীতারমণের কর্মদক্ষতার জন্যই তাঁকে প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। চিন ও পাকিস্তানের মতো দুই প্রতিবেশীকে সামলাতে এভাবেই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন নয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.