Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারতীয় মজদুর সংঘ

‘দেশের দুঃসময়’, বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ আরএসএসেরই শ্রমিক সংগঠনের

নিজেদের নীতিতে নিজেদেরই বিশ্বাস নেই, কেন্দ্রের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ ভারতীয় মজদুর সংঘ।

Nirmala Sitharaman Faces RSS Body's Criticism after privatisation
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 17, 2020 10:35 am
  • Updated:May 17, 2020 10:35 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেসরকারি বিনিয়োগেই মনোনিবেশ করেছে কেন্দ্র। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে আটটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে বেসরকারি বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। যা একেবারেই নাপসন্দ আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘের (Bharatiya Mazdoor Sangh)। নির্মলার এই ঘোষণাকে দেশের জন্য দুঃসময় হিসেবে বর্ণনা করছে তাঁরা। সংঘের শ্রমিক সংগঠনের এই অবস্থান কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়াবে, তাতে সন্দেহ নেই।

শুরু থেকেই বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে আরএসএস (Rashtriya Swayamsevak Sangh)। তাঁদের দাবি, এভাবে সবকিছুতে বেসরকারিকরণ হলে শ্রমিক-মজদুরদের নিরাপত্তা থাকে না। কাজ হারানোর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ভারতীয় মজদুর সংঘ বলছে, লকডাউনের সময় সরকারি সংস্থাগুলি অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থাগুলি পঙ্গুত্বে ভুগছে। ভারতীয় মজদুর সংঘের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায় বলছেন, “এটা ভারত এবং সেইসব ভারতবাসীর জন্য দুঃখের দিন যারা তিনদিন ধরে অপেক্ষা করেছিলেন চতুর্থ দিন ভাল কিছু শোনার জন্য।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘অসহনীয়! পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেখে চোখে জল আসছে’, মন্তব্য মাদ্রাজ হাই কোর্টের]

আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন বলছে, “এই সরকার ট্রেড ইউনিয়ন এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করে না। এতেই বোঝা যায় নিজেদের নীতির উপরই বিশ্বাস নেই এদের। এটা নিন্দনীয়। যেসব সেক্টরগুলিতে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে, সেগুলিতে আগে থেকেই আমরা বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ করে আসছি।” ক্ষুব্ধ সংগঠনের নেতা ব্রিজেশ উপাধ্যায় বলছেন, ‘আমাদের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন সংস্কার মানেই বেসরকারিকরণ। কিন্তু কঠিন সময়ে বেসরকারি সংস্থাগুলি পঙ্গু হয়ে যায়। তখন সরকারি সংস্থাই কাজে আসে। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতাই তার প্রমাণ। বেসরকারিকরণের প্রভাব সবসময় সরাসরি পড়ে শ্রমিকদের উপরে। এর ফলে চাকরি যায়। নিম্ন-মানের কর্মসংস্থান তৈরি হয়। কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই আমূল পরিবর্তন করে ভুল পথে এগোচ্ছে সরকার।’

[আরও পড়ুন: মানবিকতার নজির! পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে রাস্তায় নামলেন রাহুল গান্ধী]

উল্লেখ্য, লকডাউনে পরবর্তী সময়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেসরকারিকরণে ভরসা রেখেছে সরকার। কয়লা -সহ খনিজ সম্পদ উত্তোলন, বিমান পরিযেবা থেকে মহাকাশ গবেষণা সর্বত্রই বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়াতে জোর দিয়েও অবশ্য অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি শেয়ার বাজারে ছাড়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ভারতীয় মজদুর সংঘ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement