ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি মাসেই নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি হতে পারে। কিন্তু ফাঁসি দেবেন কে? তিহার জেলে না কি ফাঁসুড়েই নেই! ফাঁসির নির্দেশ জারি হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে তিহার জেলের কর্তাদের।
২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করা হয় এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে।কয়েকদিন যমে মানুষে টানাটানির পর, হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল গোটা দেশ। শেষপর্যন্ত তাদের ফাঁসির সাজা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবার সেই সাজা মকুবের আর্জি জানিয়েছিল অভিযুক্ত বিনয় শর্মা। তিহার জেল কর্তৃপক্ষ সেই আবেদনপত্র দিল্লি প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তারা আবার সেই আরজি উপরাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি আবেদন না মঞ্জুর করারও আবেদন জানিয়েছেন। সেই আবেদন আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে বলে খবর। যদিও সেই আবেদন মঞ্জুর হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলে চলতি মাসেই হয়তো তাদের ফাঁসি হতে পারে। কিন্তু সেই ফাঁসি দেবে কে?
জানা গিয়েছে, তিহার জেলে শেষ ফাঁসি হয়েছি্ল সংসদে হামলাকারী আফজল গুরুর। সেসময়ও তিহারে কোনও ফাঁসুড়ে ছিল না। সূত্রের খবর, জেলেরই এক কর্তা নাকি ফাঁসি দেওয়ার দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেন। এবার সে ধরনের সমস্যা এড়াতে কোমর বেঁধে নেমেছেন জেল কর্তারা। ইতিমধ্যেই ফাঁসুড়ের খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন তারা। অন্যান্য জেলের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের একাধিক গ্রামেও নাকি চলছে ফাঁসুড়ের খোঁজ। প্রসঙ্গত, এই এলাকার গ্রাম থেকেই শেষ ফাঁসুড়েকে পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেরকম কাউকে পাওয়া যায় কি না তা দেখতে চান পুলিশকর্তারা।
কিন্তু কেন এমন অবস্থা? পুলিশ সূত্রে খবর, আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থায় বিরলের মধ্যে বিরলতম মামলায় একমাত্র ফাঁসির সাজা হয়। ফলে ‘ফুলটাইম’-জন্য কোনও ফাঁসুড়ে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী খুঁজে নিতে হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.