সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার দোষী বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আবার এদিনই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আরজি জানালেন আরেক দোষী অক্ষয়কুমার সিং (ঠাকুর)। শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি চার দোষী অক্ষয়কুমার সিং (ঠাকুর), পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংয়ের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফাঁসি স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু এদিনই বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তবে এবার সে রায় সংশোধনের আরজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে বলে আইনজীবীদের মত।
2012 Delhi gang-rape case: The President of India rejects mercy plea of convict Vinay Sharma pic.twitter.com/SDzNrEiYxk
— ANI (@ANI) February 1, 2020
২০১২ সালে দিল্লির চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা শিউড়ে উঠেছিল গোটা দেশ। তারপর থেকে টানা সাত বছর ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। এক নাবালক ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে। এক অভিযুক্ত জেলের মধ্যে আত্মহত্যা করে। বাকি চারজনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু আইনি মারপ্যাঁচে পরপর দুবার ফাঁসির দিনক্ষণ পিছিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কেন তার আরজি খারিজ করা হল, তা নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুকেশের আইনজীবী। তার সেই আরজিও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ফলে তার আর ফাঁসি এড়ানো আর কোনও আইনি পন্থা বাকি নেই। আরেক দোষী অক্ষয়কুমার সিংয়ের (ঠাকুর) নামে ফাঁসির পরোয়ানা জারি হয়েছিল। কিন্তু সেই আরজি বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অক্ষয়। রায় সংশোধনের সেই আরজিও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আরজি জানায় সে।
2012 Nirbhaya case convict Akshay Thakur has now filed a mercy petition before the President of India pic.twitter.com/mKtyqlGU51
— ANI (@ANI) February 1, 2020
এদিকে ধর্ষণ কাণ্ডের সময় পবন গুপ্তা নাবালক ছিল বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু পুলিশি তদন্তের সময় তাকে নাবালক হিসেবে দেখানো হয়নি। এ নিয়ে আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পবনের আইনজীবী। সেসময় তার আরজি খারিজ করে দেওয়া হয়। কেন তার সেই আরজি খারিজ করা হল, এনিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তার আইনজীবী। শুক্রবার তার সেই আরজি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে এখনও প্রাণভিক্ষার আরজি জানায়নি পবন। বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে আরজি জানিয়েছিল। তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে দণ্ডিতদের আইনজীবী আপিল করেন, ১ ফেব্রুয়ারি চার জনের ফাঁসির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। তাঁর যুক্তি ছিল, দুই সাজাপ্রাপ্ত, অক্ষয়কুমার সিং এবং পবন গুপ্তার সামনে ফাঁসির আদেশ চ্যালেঞ্জ করার আইনি পথ এখনও খোলা রয়েছে। চার দণ্ডিতের মধ্যে একমাত্র মুকেশ সিংহের সামনেই আর কোনও আইনি পথ খোলা নেই। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এক অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের মৃত্যুদণ্ড একই দিনে কার্যকর করতে হবে। তাই কাউকে একা ফাঁসি দেওয়া সম্ভব হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.