সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ দিন কয়েক একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে স্টিং অপারেশনে কাশ্মীরের টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদ ও অন্য পাকিস্তানি ব্যক্তিদের কখোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ্যে এসেছিল৷ এবার পাকিস্তানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে হুরিয়ত কনফারেন্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে চলেছে এনআইএ৷ জানা যাচ্ছে, এনআইএ-র প্রাথমিক তদন্তে সৈয়দ আলি, নইম খান, গাজি জাভেদ বাবা এবং ফারুক আহমেদ দার ওরফে বিট্টা কারাটের মতো প্রথম সারির হুরিয়ত নেতার নাম উঠে এসেছে৷ খুব তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই চার নেতার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হবে বলে সূত্রের খবর৷
NIA registers preliminary enquiry into funding of Hurriyat leaders SAS Geelani,Naeem Khan&others in J&K by Hafiz Saeed &Pak based terrorists pic.twitter.com/fyJagmld20
— ANI (@ANI_news) May 19, 2017
[ নির্দেশ না মানলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদে যাবে ভার ]]
গত বছরের জুলাই থেকে উত্তপ্ত কাশ্মীর৷ নিরাপত্তার বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়া, সরকারি ভবন ও স্কুলে ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়েছে উপত্যকায়৷ নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও একশোজনেরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ এআইএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উপত্যকায় হিংসা ছড়ানোর জন্য সীমান্তের ওপার থেকে নিয়মিত টাকা আসত৷ প্রাথমিক তদন্তে এএনআই জানতে পেরেছে, লস্কর-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠন ও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা হাওয়ালা মারফত পুরানো দিল্লির বাল্লিমারান, চাঁদনি চক এলাকায় এজেন্টদের কাছে টাকা পাঠাত৷ সেখান থেকে টাকা চলে যেত কাশ্মীরে৷
দিন কয়েক আগেই কাশ্মীরের অশান্তি ঘটনা নিয়ে একটি স্টিং অপারেশন চালিয়েছিল একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম৷ সেখানে দেখা যায়, লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদ ও অন্য পাকিস্তানি ব্যক্তিদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে কথা বলছে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা৷ জানা যাচ্ছে, সেই স্টিং অপারেশনের বিষয়বস্তুও খতিয়ে দেখবে এনআইএ৷ জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে ইতিমধ্যেই স্টিং অপারেশনে ব্যবহৃত ক্যামেরা ও মেমোরি কার্ড চেয়ে পাঠানো হয়েছে৷
[ হুরিয়তকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করুক কেন্দ্র, দাবি প্রাক্তন সেনাপ্রধানের]
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই কাশ্মীরে অশান্তি জন্য হুরিয়ত কনফারেন্সকে দায়ী করে, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তুলেছিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং৷ তিনি এও দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর কথা নাকি প্রকাশ্যেই স্বীকার নিয়েছেন হুরিয়ত নেতারা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.