সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহখানেক আগে বেঙ্গালুরুর হিংসা মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র নয় বলে উল্লেখ করেছিল কর্ণাটক সরকারের তৈরি করা তদন্ত কমিটি। মূলত প্রমাণের অভাবেই তারা এই রিপোর্ট দিয়েছিল বলে খবর। কিন্তু, গত মঙ্গলবার জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করার পরেই বদলে গেল ছবিটা। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গত মাসে হওয়া সাম্প্রদায়িক অশান্তির কারণ খুঁজলেন তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার করলেন এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযু্ক্ত ৪৪ বছরের সৈয়দ সাদ্দিক আলিকেও।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতমাসে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) -তে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী সাদ্দিক আলি একটি ব্যাংক রিকভারি সংস্থায় কাজ করে। গত মাসে বেঙ্গালুরুতে অশান্তির ঘটনা তার উসকানির জন্যই লেগেছিল। এর ফলে চার জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর নিজেকে বাঁচাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল আলি। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অশান্তিতে ব্যবহৃত এয়ারগান, প্লেট, ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি ওই সমস্ত জায়গা থেকে কিছু ডিজিটাল ডিভিইস ও এসডিপিআই ও এসএফআই সংগঠন সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে।
আগস্টের ১১ তারিখ কর্ণাটকের পুলকেশীনগর বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপোর বিতর্কিত একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেঙ্গালুরুর বিস্তীর্ণ এলাকা। বিধায়কের বাড়ি এবং থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। গ্রেপ্তার করা হয় ৩০০ জনের বেশি অভিযুক্তকে। শহরজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এদিকে, বেঙ্গালুরু হিংসায় গ্রেপ্তার অনেকেই PFI’র রাজনৈতিক শাখা ‘সোশ্যাল ডেমক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া’র (SDPI) সদস্য। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ফের এই সংগঠন দু’টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে কর্ণাটক সরকার। কিন্তু, সপ্তাহখানেক আগে তাদের তৈরি তদন্ত কমিটিই এই অশান্তির ঘটনায় মৌলবাদীদের জড়িত থাকার অভিযোগ সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.