সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিমকে (Dawood Ibrahim) ধরতে নয়া পদক্ষেপ সরকারের। সেই নাশকতামূলক ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় তিন দশক। কিন্তু আজও অধরা দাউদ। অবশেষে নতুন করে NIA-র তরফে UAPA তথা দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হল ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’ ও তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশের পরই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কী বলা হয়েছে নতুন এফআইআরে? সেখানে বলা হয়েছে, একাধিক নাশকতামূলক ঘটনায় জড়িত দাউদ ও তার সঙ্গীরা। জানা যাচ্ছে, এনআইএ-র ডিআইজির নেতৃত্বে একটি দল এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করবে। দলে একজন পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্টও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয় মুম্বই শহরে। মোট ১৩টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যাতে মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের, আহত হন ৭১৩ জন। এই বিস্ফোরণের মূলচক্রী ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। সেই অর্থে এটাই দেশের প্রথম জঙ্গি হামলার ঘটনা, যা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এরপর থেকেই ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র মূল চক্রী টাইগার মেনন ও দাউদ-সহ বাকি অভিযুক্তদেরল ধরতে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ভারত।
গত মাসে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস-বিরোধী সম্মেলন ২০২২-এ ভারতের প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি নাশকতামূলক ক্রিয়াকলাপ ও আন্তর্জাতিক অপরাধের মধ্যে যোগসূত্রের উল্লেখ করে জোরাল ভাবে এর মোকাবিলার পক্ষে সওয়াল করেন।
সেই সময়ই পাকিস্তানে (Pakistan) দাউদের আত্মগোপন করে থাকার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ”আমরা দেখেছি কেবল যে দাউদকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে তাই নয়। তাকে রীতিমতো পাঁচতারা হোটেলের স্বাচ্ছন্দ্যে রাখা হয়েছে।” তাঁর এই আক্রমণের পরই দাউদ ও তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করল এনআইএ। শেষ পর্যন্ত দাউদকে ফেরানো সম্ভব হয় কিনা, সেদিকেই আপাতত নজর ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.