সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএস জঙ্গি সন্দেহে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা থেকে আরও পাঁচ জনকে আটক করল এনআইএ৷ রবিবারের গোপন তল্লাশই অভিযানে এদের আটক করা হয়৷ ধৃতেরা সকলে এই আইএসের ভারতীয় শাখা হরকত-উল-হার্ব-এ-ইসলামের সদস্য বলে জানিয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷ সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আইএসের পতাকা৷
[সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি পাক সেনার, ভারতীয় জওয়ানের গুলিতে নিকেশ ২]
গত সপ্তাহেও একই ভাবে উত্তরপ্রদেশে ও দিল্লির সতেরোটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ৷ হরকত-উল-হার্ব-এ-ইসলামের সদস্য সন্দেহে আটক করা হয়েছিল ১৬ জনকে৷ জেরা করার পর ধৃতদের মধ্যে দশজনকে পরে গ্রেপ্তারও করে এনআইএ৷ তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, প্রজাতন্ত্র দিবস ও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজধানী-সহ দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফিদায়েঁ হামলার ষড়যন্ত্র করছিল জঙ্গিরা। তাদের নিশানায় ছিলেন, দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা এবং আরএসএস-এর মতো বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদর দপ্তর ও নেতারা৷
[নেতাজিকে বিরল সম্মান, আন্দামানের তিনটি দ্বীপের নাম বদলালেন মোদি]
তল্লাশি অভিযানে এনআইএ-এর হাতে এসেছিল সাড়ে সাত লক্ষ টাকা, একশোটি মোবাইল ফোন, ১৩৫টি সিম কার্ড, বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ ও মেমোরি কার্ড৷ এনআইএ-র আইজি অলোক মিত্তল জানিয়েছিলেন, উদ্ধার হওয়া সরঞ্জামের ভিত্তিতে তাঁরা একপ্রকার নিশ্চিত যে, রিমোর্ট নিয়ন্ত্রিত শক্তিশালী বিস্ফোরকের দ্বারা হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গি ধৃতদের৷ বিদেশ থেকে টাকার জোগান দেওয়া হত তাঁদের এবং বিদেশ থেকেই আইএসের শীর্ষ নেতারা সংগঠনটিকে চালনা করত৷ এনআইএ আইজি আরও জানিয়েছিলেন, এই সংগঠনটির মূল পাণ্ডা হল ধৃত জঙ্গি মুফতি সোহেল৷ উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা সোহেল দিল্লির একটি মসজিদে কাজ করত৷ সূত্রের খবর, ধৃত দশজনকে জেরা করেই সন্দেহভাজন আরও পাঁচজনের খোঁজ পান তদন্তকারীরা৷ সেমতো রবিবার তল্লাশি অভিযান চালান হয় উত্তরপ্রদেশের একাধিক স্থানে৷ অবশেষে আমরোহা থেকে পাঁটজনকে আটক করেন তদন্তকারীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.