Advertisement
Advertisement
এনআইএ

সন্ত্রাস দমনে আরও কড়া কেন্দ্র, রাজ্যসভায় পাশ এনআইএ সংশোধনী বিল

এবার বিদেশে ঘটা নাশকতার ঘটনায় তদন্ত করতে পারবে এনআইএ।

NIA Bill clears Rajya Sabha hurdle, boost for the agency
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 18, 2019 10:17 am
  • Updated:July 18, 2019 12:50 pm  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভার পর বুধবার রাজ্যসভাতেও পাশ হল এনআইএ সংশোধনী বিল, ২০১৯। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এতে স্বাক্ষর করলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। বিলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ-র হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে এনআইএ দেশের বাইরে ঘটা অপরাধকে নথিভূক্ত করতে পারবে এবং তার তদন্তের নির্দেশও দিতে পারবে। বুধবার, রাজ্যসভায় দীর্ঘ আলোচনার পর কার্যত সর্বসম্মতিক্রমেই ধ্বনিভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায়। এর আগে সোমবার লোকসভায় বিলটি বিপুল ভোটে পাশ হয়েছিল।

[আরও পড়ুন: ‘গোটা দেশেই হবে এনআরসি’, অনুপ্রবেশ রুখতে রাজ্যসভায় স্পষ্ট বার্তা অমিত শাহের]

Advertisement

এদিন আলোচনায় অংশগ্রহণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলটি কেন আনা হয়েছে সেই ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “এনআইএ যাতে বিশ্বের কোনও জায়গায় ভারত বিরোধী যে কোনও ষড়যন্ত্র ও দেশবিরোধী গতিবিধির তদন্ত করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দল বিলটিকে সমর্থন করলেও সমালোচনা করতে ছাড়েনি।

কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি বিলটি নিয়ে আলোচনায় সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তদের ছাড়া পাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। তার পালটা শাহ বলেন, “সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথম চার্জশিট ৯ আগষ্ট, ২০১২ সালে দেওয়া হয়েছিল। সেইসময় ইউপিএ ক্ষমতায় ছিল। দ্বিতীয় চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল ২০১৩ সালের ১২ জুন। দু’টি চার্জশিটই দুর্বল ছিল। শুরুতে সাতজন লোক ধরা পড়েছিল। কিন্তু একটি ধর্মবিশেষকে সন্ত্রাসের সঙ্গে জোড়ার জন্য ওই সাতজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং নতুন সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। কারণ তারা নিরপরাধ ছিল। রাজনৈতিক কারণে তাদের ফাঁসানো হয়েছিল। যাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই ছিল না, তারা কীভাবে সাজা পাবে।”

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান বিলটির সমালোচনা করে এনআইএ-কে পাকিস্তান তাদের দেশে তদন্ত করতে দেবে কি না বলে প্রশ্ন তোলেন। এ প্রসঙ্গে পাঠানকোট হামলার পর পাকিস্তানের তরফে ভারতে তদন্ত করতে আসা এবং পরে বিশ্বের সামনে ভারতকেই ঘটনার জন্য দায়ী করার প্রসঙ্গও তোলেন।

এদিন ডেরেককে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, “ডেরেক ও’ব্রায়ান প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্ত প্রতিবারের মতোই বলার পর উঠে চলে গিয়েছেন। উনি প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের কী করবেন! পাকিস্তান চুক্তি সই করেছে কিন্তু আইন তৈরি করেনি। একথা ঠিকই। কিন্তু সবকিছুই আইনে হয় না। উরিতে হামলা হয়, সিআরপিএফের উপর পুলওয়ামাতে হামলা হয়েছে। তারপর আমরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকও করেছি পরে এয়ার স্ট্রাইকও করেছি। তাদের ঘরে ঢুকে জবাব দিয়েছি। পাকিস্তানে আইন নেই বলে চিন্তা করবেন না।

[আরও পড়ুন: কুলভূষণ মামলায় ভারতের খরচ মাত্র ১ টাকা, পাকিস্তানের ২০ কোটি!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement