সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim) ভারতছা়ড়া বহু বছর। তবু এখনও ভারতে সক্রিয় ‘ডি-কোম্পানি’! হাওয়ালা মারফত কোটি কোটি টাকা পৌঁছে যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির হাতে! এহেন পরিস্থিতিতে দাউদের ‘ডান হাত’ ছোটা শাকিলের দুই সাগরেদকে গ্রেপ্তার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। শুক্রবারই এনআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হবে ওই দু’জনকে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ধৃতদের নাম আরিফ আবু বকর শেখ ও সাব্বির আবু বকর শেখ। অভিযোগ, তারা দু’জনই পশ্চিম মুম্বইয়ের শহরতলিতে ‘ডি-কোম্পানি’র বেআইনি কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসে অর্থ মদত দেওয়ার চক্রের সঙ্গে জড়িত। এনআইয়ের এক অফিসার জানাচ্ছেন, ”এই পুরো সিন্ডিকেটই দেশের বাইরে থেকে চালিয়ে যাচ্ছে দাউদ গ্যাং। আমরা ইতিমধ্যেই ২১ জনকে সমন পাঠিয়েছি।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার দাউদ সঙ্গীদের খোঁজে মুম্বইয়ের প্রায় কুড়িটি জায়গায় অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। মুম্বইয়ের সান্টাক্রুজ, নাগপদ, পরেল ও মালাড-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশি চলাকালীন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সেলিম ফ্রুট নামের এক ব্যক্তিকে মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে আটক করেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বলে রাখা ভাল, দাউদের ভাই হাজি আনিস ওরফে আনিস ইব্রাহিম শেখ, ছোটা শাকিল, জাভেদ পটেল ওরফে জাভেদ চিকনা, ইব্রাহিম মুস্তাক আবদুল রাজ্জাক মেমন ওরফে টাইগার মেমনের বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় দাউদ। তারপর বিদেশ থেকেই মুম্বইয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের রাশ ধরে সে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমেই অন্ধকার জগতের মুকুটহীন বাদশাহ হয়ে দাঁড়িয়েছে দাউদ। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র মূল চক্রী টাইগার মেনন ও দাউদ-সহ বাকি অভিযুক্তদের ধরতে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ভারত। নয়া তল্লাশির সূত্র কি দাউদ, শাকিলদের পাকড়াও করার নতুন সুযোগ এনে দেবে? উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.