সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজও অধরা ডি কোম্পানির বেতাজ বাদশা দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। শুধু সে নয়, তার প্রধান শাগরেদ ছোটা শাকিল অথবা টাইগার মেমন, জাভেদ চিকনাদেরও খোঁজ মেলেনি। দেশে না থাকলেও দাউদ যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির স্লিপার সেলের সাহায্যে বড়সড় হামলার ছক কষছে, এমন খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) ঘোষণা করল দাউদকে খুঁজে দিতে পারলেই মিলবে মোটা অঙ্কের পুরস্কার। দাউদের সঙ্গীদের সন্ধান দিলেও মিলবে পুরস্কার।
এনআইএ’র তরফে জানানো হয়েছে, দাউদকে খুঁজে দিতে পারলেই মিলবে ২৫ লক্ষ টাকা। একই ভাবে টাইগার মেমনের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি টাইগার মেমন, জাভেদ চিকনা ও আনিস ইব্রাহিমের খোঁজ দিলে দেওয়া হবে ১৫ লক্ষ টাকা।
দীর্ঘ সময় দেশে না থাকলেও এদেশে এখনও সক্রিয় ডি কোম্পানি। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, একটি স্পেশাল ইউনিট তৈরি করে ভারতে বিস্ফোরক, অস্ত্র, জাল নোট ও ড্রাগ পাচার করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দাউদ অ্যান্ড কোং। শুধু তাই নয়, জইশ, আল কায়দা ও লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির স্লিপার সেলকে কাজে লাগিয়ে দেশের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীকে খুন করারও চক্রান্ত করছে দাউদ, এমন খবরও রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গীদের খোঁজে মুম্বইয়ের প্রায় কুড়িটি জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। মুম্বইয়ের সান্টাক্রুজ, নাগপদ, পরেল ও মালাড-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। তল্লাশি চলাকালীন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সেলিম ফ্রুট নামের এক ব্যক্তিকে মুম্বইয়ের বাড়ি থকে আটক করেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও হাতে আসে তাঁদের।
১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় দাউদ। তারপর বিদেশ থেকেই মুম্বইয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের রাশ ধরে সে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমেই অন্ধকার জগতের মুকুটহীন বাদশাহ হয়ে দাঁড়িয়েছে সে। আর সেই রাজত্বেই লাগাম পরাতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দাউদ কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলাও দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার দাউদ ও তার সঙ্গীদের সন্ধান দিলে আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করল এনআইএ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.