সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯ ডিসেম্বর অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) নিয়ে তুমুল শোরগোল হয় রাজ্যসভায়। শেষ পর্যন্ত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ২০২০ বিলটি উত্থাপনে বিরোধীদের আপত্তি খারিজ হয়ে যায়। এদিন বিতর্কিত সেই বিলের পক্ষে ব্যাটন ধরলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান (National Human Rights Commission Chairperson) বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র (Arun Kumar Mishra)। তাঁর দাবি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি মেয়েদের সামাজিক অধিকারকে সুরক্ষিত করবে। এই আইন লাগু হলে দেশে লিঙ্গ বৈষম্য কমবে।
এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, পুরুষতন্ত্রের নৈরাজ্য রুখতে সমস্ত ক্ষেত্রে আইনের সঠিক ব্যবহার জরুরি। তা সম্ভব হবে কেবল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হলেই। বিচারপতি মিশ্র বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সঠিক পথ দেখাচ্ছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর বিষয়ে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত।” বিচারপতি মিশ্রর বক্তব্য, “সংবিধান যাতে মৃত অক্ষর পরিণত না হয়, ,সেই বিষয়ে সজাগ হতে হবে আমাদের। ধর্মের ঘেরাটোপ ও সামাজিক বেড়াজাল থেকে মহিলাদের রক্ষা করতে হবে।”
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “পুরুষতন্ত্রের নৈরাজ্যকে দূর করতে হবে আমাদের। সেই কারণেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি জরুরি। এর বিরোধিতা অযৌক্তিক। সব ভাল জিনিসের বিরোধিতা হয়।” বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র আরও বলেন, “অধিকার পেতে লড়াই করছে মেয়েরা। সমান অধিকার দিতে হবে তাদের। সমান অধিকার প্রকৃত মর্যাদা ফেরাবে। যা থেকে তারা দীর্ঘদিন বঞ্চিত।” কোন কারণে কেউ কেউ এই আইন নিয়ে চিন্তিত? নিজেই উত্তর দেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। তিনি দাবি করেন, “ধর্মীয় অনুশীলনে ব্যাঘত ঘটাবে না অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হলে।”
প্রসঙ্গত, বিজেপি (BJP) সাংসদ কিরোডিলাল মিনা প্রাইভেট মেম্বার বিল হিসাবে ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ২০২০ বিলটি পেশ করেছিলেন। তার বিরোধিতায় ৩টি মোশন জমা দিয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু ৬৩-২৩ ধ্বনিভোটে তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। বিরোধীরা বিলটিকে আটকে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.