সংবাদ প্রতদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণ নিয়ে দিল্লি-সহ পাঁচ রাজ্যকে কার্যত তুলোধোনা করল জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। দূষণ প্রতিরোধে রাজ্যগুলির পারস্পরিক দোষারোপ চলছিলই। এবার এ ব্যাপারে সমণ্বয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হল।
এদিন দূষণ নিয়ে দিল্লিকে একহাত নেয় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, দূষণ প্রতিরোধে ঠিক কী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। বাস্তবিক পক্ষেই এর কোনও সন্তোষজনক উত্তর নেই কেজরি সরকারের কাছে। পড়শি রাজ্যের শস্যের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর দিকে আঙুল তুলেই গা বাঁচাচ্ছিল দিল্লি প্রশাসন। কিন্তু দিওয়ালির সময়কার এ ঘটনা নতুন নয়। তাহলে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরেই এ পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে আগাম কোনও বৈঠক কেন করা হয়নি তা দিল্লি প্রশাসনের কাছে জানতে চায় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। কেন ক্রেনে করে জল ঢালা হচ্ছে, হেলিকপ্টারেরর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে না, ওঠে সে প্রশ্নও।
পাশাপাশি অন্য রাজ্যগুলির ভূমিকা নিয়েও কড়া সমালোচনা করা হয়। পাঞ্জাব সরকারকে তুলোধোনা করে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন করে, ফসলের অবশিষ্টাংশ নষ্ট করার জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। হরিয়ানা সরকারকে রীতিমতো ধমক দিয়ে জানানো হয়, যদি কৃষকদের দিকে সামান্যতম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত প্রশাসন, তাহলে কৃষকরা এ কাজ করত না। রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাজকর্মেও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। জীবন-মৃত্যুর সমস্যা নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলে পাঁচ রাজ্যের প্রশাসনকেই কোনওরকম বর্জ্য পোড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। দিল্লিতে আরও সাতদিন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে পাঁচ রাজ্যকে বৈঠক করে সমবেত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দিল্লির দূষণকে রাজনৈতিক দূষণ হিসেবে কটাক্ষ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিক্কর। দিওয়ালির পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। ধোঁয়াশায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা ছিল তাজমহল, কুতুবমিনার। দূষণের ফলে মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে দলে দলে রাজধানী ছাড়ছেন আতঙ্কিত পর্যটকরা।
দূষণ রুখতে প্রশাসন নূন্যতম কী কর্মসূচি নিয়েছে তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিকে জানাতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.