Advertisement
Advertisement

অমরনাথের পবিত্র গুহা ‘সাইলেন্ট জোন’ নয়, জানাল পরিবেশ আদালত

পূণ্যার্থীদের নীরবতা বজায় রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের।

NGT issues clarification on Amarnath matter, says its not declared silent zone

ফাইল ছবি

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 14, 2017 9:00 am
  • Updated:September 19, 2019 3:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদল পরিবেশ আদালতের। অমরনাথ নির্দেশিকায় বিভ্রান্তি দূর করতে বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের যুক্তি, পবিত্র গুহাকে সাইলেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়নি। বরং গুহাচত্বরে পূণ্যার্থীদের নীরবতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, বুধবার পরিবেশ আদালতের নির্দেশে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। পরিবেশবিদরা সেই নির্দেশে খুশি হলেও ক্ষোভপ্রকাশ করে সাধু-সন্তদের সংগঠনগুলি। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে ক্ষোভ উগরে দেন। অনেকেই অভিযোগ তোলেন, মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে বেড়ি পরাতে চাইছে পরিবেশ আদালত। পবিত্র গুহায় ঘণ্টাধ্বনি, দর্শনে বিধিনিষেধ আরোপ করে অসহিষ্ণুতাই যেন প্রকট হচ্ছে। তীব্র রোষের মুখে পড়েই কি পরিবেশ আদালতের এই অবস্থান বদল? প্রশ্ন তুলছেন বহু পরিবেশবিদ।

উল্লেখ্য, বুধবারই ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল একটি নির্দেশিকা জারি করে এই মর্মে। পূজার্চনার ক্ষেত্রেও মন্দিরের প্রবেশপথের থেকেই নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় ওই নির্দেশিকায়। পরিবেশ আদালতের চেয়ারপার্সন বিচারপতি স্বতন্তর কুমার বুধবার জানান, মন্দির কর্তৃপক্ষ যেন পূণ্যার্থীদের দর্শনের জন্য সবরকম পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা করে এবং মন্দির সংলগ্ন এলাকার পরিবেশও যেন যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। পরিবেশ আদালতের একটি বিশেষ বেঞ্চ জানায়, বাইরে থেকে কোনও জিনিস সিঁড়ি দিয়ে পবিত্র গুহার ভিতরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। মন্দিরের প্রবেশপথে প্রত্যেকের খানাতল্লাশি করতে হবে। সিঁড়ির শেষভাগ থেকে গুহা পর্যন্ত পুরোপুরি সাইলেন্স জোন হিসাবে চিহ্নিত হবে। তারপরই বৃহস্পতিবার আত্মপক্ষ সমর্থনে ট্রাইব্যুনাল জানায়, পবিত্র গুহায় শুধুমাত্র নীরবতা বজায় রাখতে হবে।

[অমরনাথের পবিত্র গুহাকে ‘সাইলেন্স জোন’ ঘোষণা পরিবেশ আদালতের]

অনেক পূণ্যার্থীই অভিযোগ করেন, গুহার ভিতরে তাড়াহুড়োর জন্য এবং নিরাপত্তার খাতিরে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো যায় না। এতে তুষারলিঙ্গর দর্শনও ভালভাবে হয় না। পরিবেশ আদালত পূণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে জানিয়েছে, তুষারলিঙ্গর সামনে থেকে লোহার গ্রিল সরিয়ে ফেলতে হবে। যাতে তীর্থযাত্রীদের দর্শনে কোনও বাধা না আসে। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, পবিত্র কাঠামোর সামনে শব্দদূষণের লেশ মাত্র যেন না থাকে। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে অন্যান্য দামি জিনিস গুহার ভিতরে নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। তাই সেই মূল্যবান জিনিসগুলি রাখার জন্য একটি বিশেষ জায়গা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্দির বোর্ডকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement