Advertisement
Advertisement

Breaking News

আসছে নয়া অত্যাধুনিক EVM, কারচুপি করতে গেলে কী হবে জানেন?

আর কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই নয়া যন্ত্রে?

New 'Tamper proof' EVM will frustrate vote rigging tricks

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 2, 2017 11:44 am
  • Updated:December 21, 2019 4:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইভিএম বিভ্রাটে জেরবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অতীতে এবং সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ব্যাপক হারে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ আসে নির্বাচন কমিশনের কাছে। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো পরিস্থিতি হয় যখন মধ্যপ্রদেশের ভিণ্ডে ইভিএমে আলাদা আলাদা বোতাম টেপার পরও বিজেপির পদ্মফুল চিহ্নে আলো জ্বলার ঘটনা ঘটে। কার্যত বিরক্ত হয়েই পুরনো সমস্ত ভোটিং যন্ত্র বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আসছে নয়া M-3 টাইপ ইভিএম। কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই নয়া ইভিএমে, জেনে নিন এই প্রতিবেদনে-

১. সংবাদ সংস্থার খবর মোতাবেক, কমিশন নয়া M-3 টাইপ ইভিএম কিনতে চলেছে। এই যন্ত্রে থাকা Self Diagnostic System। যার দ্বারা যন্ত্র কোনওদিন খারাপ হবে না।

Advertisement

২. এই ইভিএমগুলি পারমাণবিক শক্তি সংস্থা ECIL বা প্রতিরক্ষা সংস্থা BEL তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। এদের বাইরে অন্য কোনও সংস্থা ভোটিং মেশিন তৈরি করবে না।

কতদিনে তৈরি হবে এই নয়া ইভিএমগুলি?

১. আইন মন্ত্রক সূত্রে খবর, নয়া ইভিএমগুলি বানাতে ১৯৪০ কোটি টাকা খরচ পড়বে। এবং পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের এক বছর আগে ২০১৮ সালে ইভিএমগুলি আত্মপ্রকাশ করবে।

২. কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০০৬ সালের আগে কেনা ৯,৩০,৪৩০টি ইভিএম বাতিল করা হবে। কারণ, পুরনো এই যন্ত্রগুলির মেয়াদ ১৫ বছর মাত্র।

৩. গত বছর মোদির মন্ত্রিসভা কমিশনকে নয়া ইভিএমের জন্য ১০০৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করে। মন্ত্রিসভা এও বলেছিল, নয়া মেশিন ECIL এবং BEL থেকেই ক্রয় করার জন্য।

৪. এর আগে ২০ জুলাই মন্ত্রিসভা ১৪টি নয়া মেশিনের জন্য ৯২০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিল।

৫. ৩১ মার্চ রাজ্যসভায় আইন মন্ত্রক লিখিতভাবে জানায়, গত তিন আর্থিক বর্ষে কমিশ কোনও নয়া মেশিন ক্রয় করেনি। আইন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পি পি চৌধুরি জানান, কমিশনই সরকারকে জানায় গত তিনটি আর্থিক বর্ষে তারা কোনও নয়া মেশিন ক্রয় করেনি।

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর বিএসিপ সুপ্রিমো মায়াবতী প্রথম ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তারপর উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের হারের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত, পাঞ্জাবে ধরাশায়ী হওয়ার পর আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও কারচুপির অভিযোগ তোলেন ইভিএমে। উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে প্রথম রাজনৈতিক দলগুলিকে ইভিএম দেখিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তার ২৪ বছর পর ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম এর ব্যবহার হয়।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ইভিএম সম্পর্কে প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানীর একটি বিখ্যাত মন্তব্য রয়েছে। তা হল, প্রযুক্তিতে তাঁর মতে জার্মানি গোটা বিশ্বে অগ্রণী দেশ। কিন্তু সেখানেও ইভিএমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের প্রশাসন। আমেরিকায় ৫০টির মধ্যে ৩২টি রাজ্যে ইভিএমের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদি দেশের নির্বাচন কমিশনও সেই সিদ্ধান্ত নেয় তবে গণতন্ত্র আরও মজবুত হবে বলে আশাবাদী তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement