সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহান্ত পেরলেই কাজের পাশাপাশি অবসর যাপনের চেনা ছন্দে পা রাখতে চলেছেন দেশবাসী। ৮ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ। কাজের ফাঁকে ক্লান্ত হয়ে পড়লে মলে ঘুরে কিংবা রেস্তরাঁয় গিয়ে একটু জিরিয়ে নেওয়া। তবে এখন সময়টা পালটেছে। ইচ্ছেমতো ঘোরাফেরা চলবে না। রেস্তরাঁ, হোটেলে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও জারি হচ্ছে নতুন নতুন নিয়ম। আগের তুলনায় কমছে স্বাধীনতা। সেসব নিয়েই কেন্দ্র ফের নতুন নির্দেশিকা আনল। সেসব দেখে নেওয়া যাক একঝলকে –
- শপিং মলের প্রবেশপথে স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক। ক্রেতারা ঢোকার সময়ে স্যানিটাইজারে হাত ধুতে হবে। শুধুমাত্র সুস্থ এবং উপসর্গহীন মানুষজনই প্রবেশ করতে পারবেন।
- মলের প্রত্যেকটি দরজা, রেলিং, হ্যান্ডরেল, কলিং বেল – স্পর্শে ব্যবহার করতে হয়, এমন যে কোনও কিছু ঘণ্টায় ঘণ্টায় স্যানিটাইজ করতে হবে।
- কর্মী এবং ক্রেতাদের মুখে মাস্ক থাকা জরুরি। শপিং মলের ভিতরে যতক্ষণ থাকবেন, ততক্ষণ মুখে মাস্ক পরে থাকতে হবে।
- শপিং মলগুলিতে করোনা সচেতনতা সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টার অথবা অডিও ভিস্যুয়াল মাধ্যমে সচেতনতা প্রচার বাধ্যতামূলক।
- ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ঠিকমত বজায় রাখতে শপিং মলে পর্যাপ্ত কর্মী রাখতে হবে। যাতে ওই কর্মীরা সারাক্ষণ নজর রাখতে পারেন।
- শপিং মলে তুলনায় বয়স্ক কিংবা অসুস্থ কর্মীদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের ফ্রন্ট-লাইনের কোনও কাজের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। একই নিয়ম প্রযোজ্য অন্তঃসত্ত্বা কর্মীদের ক্ষেত্রে।
- মলের ভিতরের এয়ার কন্ডিশনের তাপমাত্রা রাখতে হবে ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে। সঙ্গে ৪০-৭০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকতে হবে।
- পার্কিং লটে নির্দিষ্ট দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে গন্ডি কেটে দিতে হবে।
তবে শপিং মলে সিনেমা হল, গেম জোন-সহ একাধিক বিনোদনের জায়গা আপাতত বন্ধই থাকছে।
- কিছু বিধিনিষেধ জারি হয়েছে হোটেল এবং রেস্তরাঁর ক্ষেত্রেও –
রেস্তরাঁয় যে কোনও সময়ে ৫০শতাংশের বেশি গ্রাহকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। টেবিলে বসার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যকীয়।
- বাড়তি জোর দিতে হবে হোম ডেলিভারি বা টেক অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে।
- কেনাবেচার ক্ষেত্রে সরাসরি নোটের আদানপ্রদানের বদলে ডিজিটাল পেমেন্টে জোর দিতে হবে।
- রেস্তরাঁ কর্মীদের প্রতিদিন কাজ শুরুর আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা বাধ্যতামূলক। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পোশাক পরতে হবে।
- সরাসরি হাতে খাবারের প্যাকেট দেওয়া যাবে না।
- প্রত্যেকবার গ্রাহক উঠে যাওয়ার আগে রেস্তরাঁর টেবিল স্যানিটাইজ করতে হবে।
সুতরাং, রেস্তরাঁয় গিয়ে একসঙ্গে খানাপিনার ক্ষেত্রে চিরাচরিত আনন্দে কিছুটা ভাঁটা পড়বে ঠিকই, তবে নিজেকে এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে এটুকু বিধিনিষেধ মেনে চললে আনন্দ বাড়বে বই কমবে না।