Advertisement
Advertisement

Breaking News

সংরক্ষণ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে, মহাজোটকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

চৌকিদারকে তাড়াতেই একজোট হয়েছে বিরোধীরা, দাবি মোদির।

New EWC won't effect existing quota
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 27, 2019 8:07 pm
  • Updated:January 27, 2019 8:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ কোটা নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রবিবার তামিলনাড়ুতে একটি জনসভায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি জানান, এই নতুন সংরক্ষণের সঙ্গে দলিত, আদিবাসী বা অনগ্রসর সম্প্রদায়ের কোটার কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের কোনও প্রভাবও পড়বে না। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাহায্য করাই প্রধান উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয়, মহাজোটকেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, দেশে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ রোধে বিজেপি সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল উচ্চবর্ণদের জন্য শিক্ষা ও সরকারি চাকরির জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। দেশের প্রতিভা যাতে আর্থিক সংকটে হারিয়ে না যায়, তাই এই সংরক্ষণ করা হয়েছে।

[ভুল জায়গায় চাকরি করছেন ভারতের বেশিরভাগ মানুষ, দাবি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদের]

এদিন সভায় উচ্চবর্ণের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দলিত, আদিবাসী ও অনগ্রসর সম্প্রদায়, যারা আগে থেকেই সংরক্ষণের অধীন তাদের কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু গোটা দেশে এই বলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করানো হচ্ছে। তামিলনাড়ুর কিছু মানুষও এমন করছে। শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে এই কাজ করছে তারা। আমি সবার কাছে অনুরোধ করব, এই নেতিবাচক মন্তব্য থেকে দূরে থাকুন।” কেন্দ্রের উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ নিয়ে প্রতিবাদ করে ডিএমকে ও তামিলনাড়ুর কিছু দল। তাঁদের দাবি, সামাজিকভাবে যারা পিছিয়ে তাদেরই সংরক্ষণের আওতায় আনা উচিত। এই কোটার বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছে ডিএমকে। আজ জনসভায় মোদি জানান, গরীব বিরোধী রাজনৈতিক মতভেদ কখনও কারও কাজে আসে না।

Advertisement

[নেতাজি রহস্যের সমাধান অসম্ভব, বললেন আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্য]

দেশ থেকে বিশাল সম্পত্তির কেলেঙ্কারি করে পালিয়ে গিয়েছেন নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মাল্যের মতো ব্যবসায়ীরা। এদিন তা নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “যারা দেশের টাকা লুঠ করে পালিয়েছে, তাদের বিচার হবে। এদেশে থাকুক অথবা বিদেশে, শাস্তি তো হবেই।” চেন্নাই থেকে দিল্লি, সব জায়গাতেই সতর্ক দেশ। আর তাই সব বিরোধীরা একজোট হয়েছে। চেন্নাইয়ের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের চৌকিদারকে তাড়াতে ওরা একজোট হয়েছে। বিরাট বড় দল তৈরি করেছে ওরা। ভয় আর নেতিবাচকতা ছড়াচ্ছে। কিন্তু গরীবদের পাশে সব সময় ছিল, আগামীদিনেও থাকবে নরেন্দ্র মোদি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement