সুব্রত বিশ্বাস: ভারতীয় রেল চালু করতে চলেছে তাদের নতুন ট্রেন উৎকৃষ্ট ডবল ডেকার এয়ার কনডিশন যাত্রী এক্সপ্রেস। ভারতীয় রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ট্রেনকে সহজেই যে কোনও বিদেশি ট্রেনের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। কারণ এর বিজনেস ক্লাসে থাকছে এলইডি স্ক্রিন, ওয়াই-ফাই, উন্নতমানের বায়োটয়লেট, ভিনাইল র্যাফটিং, আধুনিক সিট ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়।
আচ্ছা ‘নায়ক’ ছবির সেই বিখ্যাত দৃশ্যটা মনে পড়ে যেখানে শর্মিলার সঙ্গে ক্যান্টিনে মুখোমুখি উত্তম কুমার? থুড়ি, ওটাকে ক্যান্টিন না বলে মোবাইল ক্যান্টিন বলা ভাল। জানেন কোন ট্রেনে ছিল ওরকম ক্যান্টিন? ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনটির বিশেষত্ব ছিল ওরকম ক্যান্টিন। কিন্তু আটের দশকে ওইরকম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের কামরায় নতুন চমক আনার জন্য জোড়া হয়েছিল ‘ডবল ডেকার’ কোচ।
[বাইচুং তৃণমূল ছাড়তেই টুইট রিজিজুর, নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের জল্পনা]
তবে নামেই ‘ডবল ডেকার’। দোতলা এই কামরা ক্রমে জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করে ব্যবহারে অসুবিধার জন্য। নিচের তলায় বাইরের ধুলো ঢোকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়। আর উপরে মাথা সোজা করে চলাচলের অসুবিধাই ছিল এই নয়া ব্যবস্থার মূল প্রতিবন্ধকতা। এর কয়েক বছরের মধ্যে সরকার বদল হলে দ্বিতীয়বার আবার নতুন করে চালু করা হয় হাওড়া-ধানবাদের মধ্যে এই ট্রেন। আর এবার অতি আধুনিক প্রযুক্তির এই ট্রেন স্বাভাবিকের চেয়ে চওড়া হওয়ায় হাওড়া কর্ড শাখার অসংখ্য প্ল্যাটফর্মকে কেটে ছোট করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ট্রেন রেল কর্তৃপক্ষ চালুই করেনি। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ মহাপাত্র এবিষয়ে বলেছেন, কুড়ি শতাংশ আসনও ভরতি না হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কায় ওই ট্রেনটি চলেনি। আর আধুনিক মানের সেই কোচ ডিপোতে স্থান পেয়েছে।
তবে বর্তমানে ডবল ডেকারে যাত্রীদের অনীহা সত্ত্বেও আবার নতুন করে তিনটি রুটে ডবল ডেকার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। কোয়েম্বাটুর-বেঙ্গালুরু, বান্দ্রা-জামনগর ও বিশাপত্তনাম-বিজয়ওয়াড়া শাখায় চলবে এই ট্রেন। বিজনেস ক্লাসের জন্য এলইডি স্ক্রিন, ওয়াইফাই, উন্নতমানের বায়োটয়লেট, ভিনাইল র্যাফটিং, আধুনিক সিট ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে চলবে এই ডবল ডেকার।
পূর্ব রেলের ডবল ডেকার একেবারে জনপ্রিয় হয়নি। তবে আবার কেন এই প্রচেষ্টা জানতে চাওয়া হলে রেলবোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, নির্বাচিত অঞ্চলগুলি শিল্পসমৃদ্ধ। তাই গুরুত্বপূর্ণ ডবল ডেকার জনপ্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা তীব্র। দুর্গাপুর, ধানবাদ শিল্পাঞ্চল হলেও, হাইরোডগুলি উন্নত হওয়ায় সড়কপথের জনপ্রিয়তার জন্য হাওড়া-ধানবাদের মধ্যে ডবল ডেকার জনপ্রিয় হয়নি। তবে এবারে নতুন করে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে এই ট্রেনকে জনগনের সামনে আনা হচ্ছে, তাই এবার এই ট্রেনে চড়তে লোকে উৎসাহ দেখাবেন বলেই মনে করছেন তাঁরা।
[‘ভারতমাতা কি জয়’ না বললেই পাকিস্তানি! বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.