সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে কি ব্যাকফুটে কেন্দ্র? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ানের (Sanjeev Balyan) কথায় অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে। তিনি প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন, বিল পাশ হওয়ার পর এত বিক্ষোভ হবে, বিজেপি নেতারা ভাবতে পারেননি। অল্পসল্প বিক্ষোভ হতে পারে তা প্রত্যাশা করা হলেও, তার মাত্রা যে এতটা হবে তা কল্পনাও করা যায়নি।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খোলাখুলি বলেছেন, “আমরা ভেবেছিলাম মুসলিমদের কাছ থেকে অল্পসল্প বিক্ষোভ আসতে পারে। কিন্তু, এভাবে গোটা দেশ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠবে তা আমরা ভাবতেই পারিনি।” বালিয়ানের দাবি, শুধু তিনি একা নন, বিজেপির কোনও নেতামন্ত্রীই বিক্ষোভের এই তীব্রতার কথা কল্পনা করেননি। এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, আরও বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, বিক্ষোভের তীব্রতা নিয়ে তাঁদের অনুমান ভুল ছিল। তবে, তাঁরা কেউ নাম প্রকাশ করতে চাননি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এর বিরোধীরা। প্রথমে সংখ্যালঘু মুসলিমরা আন্দোলন শুরু করলেও, ধীরে ধীরে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে, এবং তা গণআন্দোলনের রূপ নেয়। চাপের মুখে এনআরসি ইস্যুতে পিছু হটার ইঙ্গিত দেয় সরকার। দিল্লির রামলীলা ময়দানে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ঘোষণা করেন, দেশজুড়ে এনআরসির কোনও আলোচনাই হয়নি। অসমে এনআরসি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, তাতে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা ছিল না। মোদির পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah) এনআরসি নিয়ে পিছু হটার বার্তা দেন। প্রধানমন্ত্রীর সুরে তিনিও বলেন দেশজুড়ে এনআরসি নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি।
সরকারের দুই প্রধান মুখের এই ভোলবদলের পরই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এনআরসি এবং সিএএ ইস্যুতে কিছুটা হলেও পিছু হটেছে কেন্দ্রে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ানের এই মন্তব্য সেই ধারনাকেই আরও দৃঢ় করল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.