স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার ‘অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা’র সর্বভারতীয় নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব নিলেন এক বাঙালি কন্যা। সম্পর্কে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্রী। ১৮৮২ সালে লাহোরে বাঙালি বিচারক চন্দ্রকান্ত মিত্রর হাত ধরে যে হিন্দু মহাসভার যাত্রা শুরু সেই সংগঠনের শীর্ষপদে এলেন এক বঙ্গরমণী। নির্মলচন্দ্রের পুত্র সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে লোকসভার স্পিকার ছিলেন।
[পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৮ আগস্ট শপথগ্রহণ ইমরান খানের]
রাজ্যশ্রী চৌধুরি। কলকাতার লা মার্টিনিয়ারের ছাত্রী, ম্যানেজমেন্টে এমবিএ করেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে। রাষ্ট্রসংঘ থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ড ও বাংলার নানা জেলায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ২০০৯ সালে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীও ছিলেন। হিন্দু মহাসভার সঙ্গে যোগাযোগ এক দশকের কিছু বেশি সময়। গত ৯ মে দেশের সমস্ত রাজ্য সংগঠনের সভাপতিরা দিল্লির গাড়োয়াল ভবনে বসে সর্বসম্মতভাবে রাজ্যশ্রীকে সভাপতি নির্বাচিত করেন। সাভারকর পরিবারের বধূ গোপাল গডসের মেয়ে হিমানী এর আগে প্রথম মহিলা সভাপতি হন, দ্বিতীয় মহিলা অধ্যক্ষ হলেন রাজ্যশ্রী। মহাসভার দাবি, হিমানী ছিলেন মনোনীত, আর রাজ্যশ্রী প্রথম নির্বাচিত সভানেত্রী। শুক্রবার নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে রাজ্যশ্রীর দায়িত্ব গ্রহণের সভায় সমস্ত রাজ্যের মহাসভার সভাপতি ও আধিকারিকদের সঙ্গে হাজির ছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকরের নাতি রঞ্জিত।
দায়িত্ব গ্রহণের পরেই রাজ্যশ্রী রাম মন্দির নির্মাণে গড়িমসি করার অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। বলেন, ‘রাম মন্দিরের জমির আসল মালিক হল হিন্দু মহাসভা। তাই মহাসভার অনুমতি ছাড়া কেউ ওখানে মন্দির করতে পারবে না। কিন্তু সেখানে মন্দির নির্মাণের নামে বছরের পর বছর ধরে শুধু রাজনীতি হচ্ছে।” দেশের কৃষকদের জন্যও কেন্দ্রীয় সরকার কোনওরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তোপ দাগেন নয়া সভাপতি। দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু না হওয়া নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যশ্রীর অভিযোগ, “কেন্দ্রে ক্ষমতায় গিয়ে বিজেপি এখন কংগ্রেসের বি-টিম হয়ে গিয়েছে। কারণ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভেদে দেশে এক আইন চালুর প্রতিশ্রুতি ছিল পদ্ম শিবিরের। কিন্তু তা না করে ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে জাতি-ধর্ম মেনে আলাদা আইননীতি চালু করছে।” গোরক্ষাকে ধর্মের নাম না দিয়েও রাজ্যে রাজ্যে দেশাত্মবোধ রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেও দাবি করেন তিনি। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র নিয়েও বলেন,“ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নজর যখন ভারতের ওপর তখন তাদের উচিত ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করা।” লোকসভা ভোটে হিন্দু মহাসভার প্রার্থীরা একাই নির্বাচনে লড়বে বলে ঘোষণা করেন। বলেন, আসানসোলে সুন্দর গিরি ও যাদবপুরে মেজর রমেশ উপাধ্যায় ভোটে লড়বেন।
[কেরলের বন্যায় উত্তরোত্তর বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, উদ্ধারকাজে নামল নৌসেনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.