Advertisement
Advertisement

Breaking News

Netaji Subhas Chandra Bose

চরম মতপার্থক্যেও কারও প্রতি তিক্ততা পুষে রাখতেন না নেতাজি, বলছেন চন্দ্রচূড় ঘোষ

'আমার মানসিকতা একজন বক্সারের মতো', গান্ধীকে চিঠিতে লিখেছিলেন নেতাজি।

Netaji Subhas Chandra Bose did not carried anger on anybody

ফাইল ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:January 28, 2025 4:01 pm
  • Updated:January 28, 2025 4:01 pm  

চন্দ্রচূড় ঘোষ: ১৯৪৩ সালের ২ অক্টোবর ব্যাংকক থেকে সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে গান্ধী সম্বন্ধে সুভাষ বলেন যে, “অন্য কেউ এক জীবনে এত বেশি করে উঠতে পারতেন না।” ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে, আরেকটি রেডিও সম্প্রচারে সুভাষ বলেন, “দেশে বা বিদেশে এমন একজনও ভারতীয় নেই যে আপনার দেখানো পথে রক্তপাত ছাড়াই স্বাধীনতা এলে খুশি হবে না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি নিশ্চিত যে, আমরা যদি স্বাধীনতা চাই, তাহলে আমাদের রক্তপাতের মধ্য দিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

গান্ধীর প্রতি সুভাষচন্দ্রের এই দ্বৈত মনোভাব ব্যাখ্যা করার দ্বিতীয় কারণ হল তাঁর মানসিক গঠন। চরম মতপার্থক্যের ক্ষেত্রেও তিনি কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা তিক্ততা পোষণ করার মতো ব্যক্তি ছিলেন না। কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে তাঁর পুনর্নির্বাচনের তিক্ততা যখন চরমে ওঠে, তখন তিনি গান্ধীকে লেখা একটি চিঠিতে তাঁর এই মানসিকতা বর্ণনা করেন: “আমি প্রতিশোধপরায়ণ ব্যক্তি নই এবং আমি মনের মধ্যে ক্ষোভ পুষে রাখি না। এক অর্থে, আমার মানসিকতা একজন বক্সারের মতো-অর্থাৎ, লড়াই শেষ হলে হাসিমুখে হাত মিলিয়ে, খেলায়াড়সুলভ মনোভাবে ফলাফল গ্রহণ করা।”

Advertisement

সুভাষের এই উদার মানসিকতা এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের বোধশক্তি গান্ধীর প্রতি গভীর ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা বজায় রাখতে তাঁকে সাহায্য করেছিল প্রচণ্ড মতাদর্শগত বিভেদ সত্ত্বেও। ১৯৪৪ সালের ৬ জুলাই সম্প্রচারিত সেই বক্তৃতায় সুভাষচন্দ্র গান্ধীর সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার পরেই বলেন, “আমাদের জাতির পিতা: ভারতের মুক্তির এই পবিত্র যুদ্ধে আমরা আপনার আশীর্বাদ এবং শুভকামনা চাই।”

তৃতীয় যে বিষয়টি সুভাষচন্দ্রকে গান্ধীর প্রতি আরও নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে সাহায্য করেছিল তা হল, তাঁর রাজনৈতিক জীবন গান্ধীর আশীর্বাদের উপর নির্ভরশীল ছিল না, যেমনটি ছিল সমকালীন রাজনৈতিক নেতাদের অনেকের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে স্বাধীন ভারতে যাঁরা ক্ষমতাসীন হন। অতএব, অন্য কিছু নেতার মতো, গান্ধীর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার পরও নিজের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাঁকে গান্ধীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়নি। এই দ্বিচারিতা থেকে তিনি একেবারে মুক্ত ছিলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement