সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রথমবার কুচকাওয়াজে অংশ নিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর গঠিত সেনাবাহিনী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা আইএনএ। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে কাজ করেছেন এমন চার সেনা এসেছিলেন। যাদের বয়স ৯৫ থেকে ১০০। সবথেকে সিনিয়র সেনা হরিয়ানার বাসিন্দা ভাগমাল। বয়স ১০০। ১৯৪২ সালে আইএনএ-তে যোগ দিয়েছিলেন। অন্য তিন জন পাঁচকুলার লালতি রাম (৯৮), হরিয়ানার হিরা সিং (৯৭) ও চণ্ডিগড়ের পরমানন্দ যাদব (৯৮) । স্মৃতি এখন অনেকটাই ঝাপসা লালতি রামের। তারপরেও জানালেন, নেতাজির মৃত্যু রহস্য সমাধান করা সম্ভব নয়।
সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের পর লালতি রাম বলেন, “আমার খুব ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে সবকিছু পেয়ে গিয়েছি। এরকম সাধারণতন্ত্র দিবস আর কখনও হয়নি। নেতাজির স্লোগান তুমি আমাকে রক্ত দাও। আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। শুধু আমরা নই, সব মানুষই শরীর, মন, আত্মা সবটুকু দিয়ে ওকে সমর্থন করত। যদি মানুষের কাছে কোনও মহিষ থাকে, সেটাও ওনাকে দিয়ে দিত। যদি কারও কাছে গরু থাকে, সেটাও রাখা থাকত নেতাজির জন্য। বলত, সেনাদের গরুর দুধ খাওয়াবেন। আর তাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। মানুষের কাছে যা যা থাকত, সবটাই তারা নেতাজিকে দিয়ে দিত।” নেতাজির মৃত্যু এখনও রহস্যময়। কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল, তার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। লালতা রামজি বলেন, “স্বাধীন হওয়ার পর সংসদে অনেকবার নেতাজিকে নিয়ে কথা হয়েছে। তাঁর মৃত্যু, তাঁর ফাইল, বাকি জীবন নিয়ে প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কারও কাছে কোনও প্রমাণ নেই। আর সেটা কোনও দিন প্রমাণ হবে না।”
১৯৪২ সালে রাসবিহারী বসুর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল আইএনএ। নেতাজির নেতৃত্বে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল বন্দি ভারতীয় সেনারা। স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিতে পারেনি আইএনএ সেনারা। দেশের স্বাধীনতার ৭২ বছর কেটে গেলেও তারা অবহেলিত থেকে গিয়েছে। এবার প্রথম সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে এল আইএনএ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.