সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে নেপালের উস্কানিমূলক কার্যকলাপে অনুঘটকের কাজ করছে চিন (China)। কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত সুন্দরী চিনা রাষ্ট্রদূতের ইশারাতেই নাকি এখন কাজ করছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই অভিযোগ যে খুব মিথ্যা নয়, তা প্রমাণ করেই এবার ভারতীয় সেনায় গোর্খাদের নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি বাতিলের পক্ষে ফের সরব হয়েছে নেপাল (Nepal)।
শুক্রবার নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি সাফ বলেন, “গোর্খা সৈনিকদের নিয়ে ভারত-নেপাল-ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষিক চুক্তির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। এবার সেটা বাতিল করাই ভাল। বিদেশী বাহিনীতে নেপালি নাগরিকদের যোগ দেওয়া উচিত নয়।” তবে ব্রিটেনের কথা উল্লেখ করলেও এদিনের ভারচুয়াল সভায় গিয়াওয়ালি যে ভারতকেই নিশানা করেছেন তা বলাই বাহুল্য। ফের ভারত বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে নেপালের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “কালাপানিতে সীমা বিবাদ নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তবে সেই প্রস্তাবের কোনও ইতিবাচক জবাব দেয়নি ভারত।”
ভারতীয় সেনার একটা মজবুত অঙ্গ হচ্ছে গোর্খা বাহিনী। নেপালের এই যোদ্ধাদের গোটা বিশ্বে জুড়ি মেলা ভার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর নেপাল, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। এতে চারটি গোর্খা রেজিমেন্টকে ব্রিটিশ আর্মি থেকে ইন্ডিয়ান আর্মিতে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে ভারতের সাতটি গোর্খা রেজিমেন্ট, আসাম রাইফেলস-সহ সেনাবাহিনীর ৪০টি ব্যাটালিয়নে ৪০ হাজারের মতো নেপালি নাগরিক কর্মরত। আর সেই বিষয়টিকেই কাজে লাগিয়ে নয়াদিল্লিকে চাপে ফেলতে চাইছে ওলি প্রশাসন। এবার আইন করে সেই চুক্তি বাতিল করতে চাইছে কাঠমান্ডু। তা যদি হয়, তাহলে নেপালের গোর্খারা আর ভারতীয় সেনাবাহিনী বা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন না। বর্তমানে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ৩ হাজার ৬০০ নেপালি সৈনিক রয়েছে।
তবে বিষয়টি যে এই প্রথম উঠে এসেছে তা নয়। ২০১৮ সালে নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির তাগিদে কেন্দ্রের গঠিত টাস্কফোর্স নেপালি তরুণদের বিদেশি বাহিনীতে যোগদান নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছিল। তবে সেসময় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু চিনের উসকানিতে এবার ফের গোর্খা সৈনিকদের নিয়ে সরব হয়েছে নেপাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.