সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫ মে-র নিট পরীক্ষায় গ্রেস নম্বর পাওয়া পড়ুয়াদের দ্বিতীয়বার যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল রবিবার রাতে তার ফলপ্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। নিট রি-টেস্টের ফল বেরতেই দেখা গিয়েছে যে, ৫ মে-র পরীক্ষায় টপার হওয়া পাঁচজন আর শীর্ষে থাকলেন না। গতবার ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ পাওয়া ৬ জন পরীক্ষার্থীর ভিতর ৫ জন আবার পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউ-ই আর টপার হতে পারেননি। সেই ৫ জন ৬৮০-র বেশি নম্বর পেয়েছেন। আগের বার যেখানে অল ইন্ডিয়া মেধাতালিকায় ৬৭ জন টপার হয়েছিলেন, সেখানে রি-টেস্টের পর টপারের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬১। ফলে গতবারের পরীক্ষা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল নয়া মেধাতালিকার পরে তা আরও জোরদার হল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গ্রেস মার্কস পাওয়া ১ হাজার ৫৬৩ পরীক্ষার্থীকে ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এনটিএ। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে মামলার পরে তাদের গ্রেস মার্কস বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অবশ্য গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জনের মধ্যে মাত্র ৫২ শতাংশই অর্থাৎ ৮১৩ জন ফের নিট ইউজি পরীক্ষায় বসেছিলেন। উল্লেখ্য, দেরিতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, এই যুক্তিতে ৫ মে-র নিট পরীক্ষায় মেঘালয়, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, গুজরাত এবং ছত্তিশগড়ের মোট ছটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, এই পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ১৪০ মার্কস পর্যন্ত গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে অনেকে ৭২০ তে ৭২০ পেয়েছিলেন। ২৩ জুন নিট রি-টেস্টের দিন দেখা যায়, চণ্ডীগড় কেন্দ্রের ২ পরীক্ষার্থী-ই অনুপস্থিত। ওদিকে ছত্তিশগড়ে ৬০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৯১ জন আবার পরীক্ষা দেন। হরিয়ানা দুটি কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ৪৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফের পরীক্ষায় বসেন ২৮৭ জন। মেঘালয়ের ৪৬৪ জনের মধ্যে ফের পরীক্ষায় বসেন ২৩৪ জন পরীক্ষার্থী। আর গুজরাটে আবার পরীক্ষায় বসেন ১ জন।
৬ জুলাই থেকে নিট-ইউজি ২০২৪-এর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই বিতর্কের জেরে নিট বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধীরা। চাপের মুখে সরানো হয়েছে এনটিএ-র ডিজিকেও। নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। নিট কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই অন্তত ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে সিবিআই এখনও প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারির ‘মাস্টারমাইন্ড’ সঞ্জীব মুখিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এই মামলায় ধৃত অন্য অভিযুক্তরা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, মুখিয়া বিহারের পাটনা এবং নালন্দায় একটি ‘প্রশ্ন ফাঁস নেটওয়ার্ক’ চালায় এবং তার জন্য একটি গ্যাং কাজ করে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং অন্য কিছু রাজ্যে তার সক্রিয় গ্যাং ছিল। ধৃতরা জানিয়েছে, মুখিয়াকে যারা নেটওয়ার্ক চালাতে সাহায্য করত, তাদের বেতন দেওয়া হত। মুখিয়া তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মোটরবাইকও দিয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.