Advertisement
Advertisement
Kota

চার মাসে ৮! কোটায় ফের আত্মঘাতী নিট পরীক্ষার্থী

জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে একের পর এক পড়ুয়া।

NEET aspirant allegedly dies by suicide in Kota

প্রতীকী ছবি।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 29, 2024 12:04 pm
  • Updated:April 29, 2024 12:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর বিরাম নেই। ফের রাজস্থানের কোটায় (Kota) পড়তে এসে আত্মঘাতী এক পড়ুয়া। রবিবার কোটার হোস্টেল উদ্ধার হল এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে এসে এই নিয়ে চলতি বছরে ৮ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হলেন কোটায়। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়া ২০ বছর বয়সী এক যুবক। হরিয়ানার (Haryana) রোহতকের বাসিন্দা তিনি। আগামী ৫ মে নিট পরীক্ষা ছিল তাঁর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বের হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বাড়ির লোকের তরফে ফোনে বারবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন ধরেননি ওই যুবক। এর পর হোস্টেলের ওয়ার্ডেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। হোস্টেলের ওয়ার্ডেন তাঁর ঘরে ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পড়ুয়া। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ছত্তিশগড়ে মৃত তিন শিশু-সহ ৮]

জানা গিয়েছে, গত এক বছর ধরে কোটায় হোস্টেলে থেকে নিট (NEET) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই পড়ুয়া। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হোস্টেলের ওয়ার্ডেন জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ খাবার খেতে এসেছিলেন তিনি। তখনই শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পুলিশি তদন্তে জানা যাচ্ছে, অন্তত ৮ থেকে ১০ দফায় দড়ি প্যাঁচানো ছিল ওই পড়ুয়ার গলায়। তাঁর ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি। ফলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ধরেছে। যদিও প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান পড়াশুনার চাপেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পড়ুয়া। পুলিশের তরফে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি খবর দেওয়া হয়েছে মৃতের পরিবারকে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যকে অতিরিক্ত তথ্য দিতে সময়, সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল সন্দেশখালি মামলার শুনানি]

উল্লেখ্য, কোটায় লাগাতার আত্মহত্যার ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। যেখানে ভর্তির বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি হোস্টেলের প্রতিটি ফ্যানের স্প্রিং ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাতে আত্মহত্যার ঘটনা আটকানো যায়। যদিও এই হোস্টেলে সে নিয়ম কেন মানা হয়নি তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর কোটায় পড়তে এসে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ২৭ জন পড়ুয়া।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement