সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী কারণে গুজরাট সেতু বিপর্যয়ে (Morbi Bridge Collapse) মৃত্যুমিছিল এত লম্বা? কেন একসঙ্গে প্রায় দেড়শো জনের মৃত্যু হল? এবার সেই কারণ খুঁজে বের করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ। মচ্ছুর নদীর জলের গভীরতা খুবই কম। উপরন্তু স্রোতও নেই। ফলে মৃতের তালিকা এত লম্বা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিপত্তি বাঁধিয়েছে নদীর নিচে থাকা বড় বড় পাথর আর ঘন কাদা মাটি। এই জোড়া ফলায় প্রাণ কেড়েছে ১৪১ জনের।
রবিবার সন্ধেয় গুজরাট (Gujarat) মোরবি সাক্ষী থেকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের। মচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু ভেঙে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চলছে নদীর নিচে তল্লাশিও। প্রাথমিক তদন্তের পর সামনে এল বিরাট মৃত্যমিছিলের আসল কারণ।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এনডিআরএফের (NDRF) কম্যান্ডার ভিভিএন প্রসন্ন কুমার জানিয়েছেন, মচ্ছু নদীর জলের গভীরতা বেশি নয়। নদীর পাড়ের কাছে জলের গভীরতা কোথাও ১০ ফুট তো কোথাও আরও কম। নদীর মাঝামাঝি জল ২০ ফুট গভীর। কিন্তু জলের নিচে রয়েছে বড় বড় পাথর। সেতু ভাঙতেই খুব জোরে পাথরের উপর আছড়ে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয় বহু মানুষের। এনডিআরএফ কর্তা বলছেন, জলের গভীরতা বেশি নয়। স্রোতও নেই। ফলে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সাঁতরে অনেকেই প্রাণে বাঁচতে পারতেন। কিন্তু পাথরে আছড়ে পড়ায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে।
রবিবার গুজরাটের মোরবিতে সেতু বিপর্যয়ের পর থেকে এখনও নিখোঁজ কয়েকজন। তাঁদের খোঁজে মচ্ছু নদীতে এখনও তল্লাশি চলছে। পাথরে খাঁজে কোনও দেহ আটকে রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। কিন্তু জলের নিচে ঘন কাদা থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন উদ্ধারকারীরা। স্রোত না থাকায় দেহ ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন উদ্ধারকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.