সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানাপোড়েন চলছিলই। এবার একেবারে সমস্ত জল্পনার উপরে সিলমোহর দিয়ে দিল তেলুগু দেশম পার্টি। এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। টেলি কনফারেন্সে দিল্লিতে সাংসদদের সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
[ আন্তর্জাতিক পরীক্ষায় ‘ফেল’, দেশের নামী সংস্থার বোতলবন্দি জলে মিলল প্লাস্টিক ]
অন্ধ্রকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। সেই শর্তেই অন্ধ্রে পদ্ম শিবিরকে সমর্থন দিয়েছিল টিডিপি। ক্ষমতায় আসার পর তা নিয়েই শুরু হয় টানাপোড়েন। মোদি সরকারের অবহেলায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে টিডিপি। ক্ষোভ চরমে পৌঁছাতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষমেশ মোদির ফোনেও বরফ গলল না। শুক্রবার এনডিএ থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। দিল্লিতে সমস্ত সাংসদদের সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ নায়ডু জানান, তিনি বারবার দিল্লিতে গিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছেন।কিন্তু কোনওভাবেই অন্ধ্রের কথা ভেবে দেখেনি সরকার। তাই চরম সিদ্ধান্ত নিতেই হল।
এই নিয়ে দ্বিতীয় জোটসঙ্গী এনডিএ ছাড়ল। দীর্ঘ বিতণ্ডার পর মহারাষ্ট্রে শিব সেনা মোদি সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিল। একদা যাদের কাঁধে হাত রেখেই দেশে গেরুয়া ঝড় উঠেছিল। তিন বছরের মাথাতেই তারা বিক্ষুব্ধ। শিব সেনার ছাড়াই ছিল ভাঙনের ইঙ্গিত। টিডিপি ছাড়ায় যেন কফিনে আরও একটি পেরেক পড়ল। এদিকে ত্রিপুরা দখল করলেও, উত্তরপ্রদেশেই মুখ পুড়েছে বিজেপির। যোগীর গড়েই উপনির্বাচনে পরাজয়ের মুখ দেখেছে পদ্ম শিবির। বিহারের দুই কেন্দ্রেও একই অবস্থা। সারা দেশেই মোদি বিরোধিতার হাওয়া জোরাল হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই সনিয়া গান্ধীর নৈশভোজে এককাট্টা হয় প্রায় ২০টি বিরোধী দল। ঠিক তারপরই টিডিপি-র জোট ছাড়া রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জেরে কেন্দ্রীয় স্তরে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে ওঠার সম্ভাবনাই আরও জোরদার হল।
[ ফের শিরোনামে পিএনবির ব্রাডি হাউস শাখা, ৯ কোটির নয়া কেলেঙ্কারির হদিশ ]
টিডিপি নেতা সি রমেশ জানিয়েছেন, বিজেপিকে মন পরিবর্তনের অনেকটা সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনওকিছুই বাস্তবে পরিণত হয়নি। তাই সমর্থন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এর আগে টিডিপি-র দুই নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানাচ্ছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, দেশকে সর্বনাশ থেকে রক্ষা করতে এরকম পদক্ষেপই প্রয়োজন।
I welcome the TDP’s decision to leave the NDA. The current situation warrants such action to save the country from disaster
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 16, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.