Advertisement
Advertisement

Breaking News

সিধু

মোদিকে ‘গৃহবধূ’ মন্তব্য নিয়ে সিধুকে ক্লিনচিট কমিশনের

বৃহস্পতিবার মোদিকে ‘রাফালে এজেন্ট’ বলে কটাক্ষ সিধুর।

Navjot Singh Sidhu gets clean chit on 'dulhan' remark targeting PM Modi
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 16, 2019 4:20 pm
  • Updated:May 16, 2019 4:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু। কিন্তু এবার তাঁকে ক্লিনচিট দিল নির্বাচন কমিশনের জেলা অফিস। জানায়, সিধুর মন্তব্য কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেনি। তাই বৃহস্পতিবার তাঁকে ক্লিনচিট দেয় ইন্দোরের কমিশন অফিস।

গত সপ্তাহের শেষদিকে ইন্দোরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু। মোদিকে ‘দুলহন’ বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, “মোদিজি হল সেই গৃহবধূর মতো যিনি রুটি বানান কম কিন্তু চুড়ির শব্দ করেন বেশি। যাতে তাঁর প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন তিনি কাজ করছেন। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে।” এর পাশাপাশি মোদিকে তিনি মিথ্যেবাদী ও বিভেদকামীদের প্রধান এবং আম্বানি ও আদানির বিজনেস ম্যানেজার বলেও অভিহিত করেন।

Advertisement

সিধুর এই মন্তব্যের পর ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে গেরুয়া শিবির। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, সিধু ‘লিঙ্গবৈষম্য মূলক’ মন্তব্য করেছেন। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র দিল্লির একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “সিধুজি, এটা নতুন ভারত। এখানে মহিলারা শুধু বাড়িতে রুটি বানায় না, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।” এরপরই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায় বিজেপি। বৃহস্পতিবার কমিশনের ইন্দোর অফিস সিধুকে ক্লিনচিট দিয়ে দেয়।

[ আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি গড়ার প্রতিশ্রুতি মোদির ]

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষের জন্য নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত যে জল গড়াল, তাতে ঝাঁজ কমেনি সিধুর। বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে সভা করেন সিধু। সেখানেও মোদিকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ২০১৪ সালে ‘গঙ্গাপুত্র’ হয়ে এসেছিলেন মোদি। কিন্তু যাবেন ‘রাফালে এজেন্ট’ হিসেবে। “আমি শুধু নরেন্দ্র মোদিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই তিনি রাফালে চুক্তির দালালি করেছিলেন কিনা। তিনি সিধুর সঙ্গে দেশের যে কোনও জায়গায় তর্ক করতেই পারেন। রাহুলজি বড় ব্যাপার। তিনি কামান আর আমি একে-৪৭।”

এখানেই থামেননি তিনি। এও বলেন, তিনি মোদির সঙ্গে একটি বিষয়ে তর্ক করতে চান। সেটি হল- ‘না আমি দুর্নীতি করব, না তোমাকে করতে দেব’। আর যদি তিনি হেরে যান, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।

[ আরও পড়ুন: ‘ঐতিহাসিক সত্য বলেছি’, গডসেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলা নিয়ে সাফাই কমল হাসানের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement