সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের প্রচারে সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু। তাঁর কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, সিধু যদি শোকজের জবাব না দেন, সেক্ষেত্রে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছে দিয়েছে কমিশন।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। এখন কংগ্রেস পরিচালিত পাঞ্জাব সরকারের মন্ত্রী তিনি। গত বৃহস্পতিবার বিহারের কাটিহারে দলের প্রার্থীর সমর্থনে একটি জনসভা করেন কংগ্রেস নেতা সিধু। কাটিহারে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। জনসভায় সংখ্যালঘুদের মোদির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান নভজ্যোত সিং সিধু। বলেন, ‘নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না। এখানে(কাটিহারে)আপনারাই সংখ্যাগুরু। ওয়াইসি-র মতো লোকেদের ফাঁদে পা দেবেন না। সবাই মিলে ভোট দিয়ে মোদিকে হারান।’ সিধুর এই মন্তব্যে দানা বাধে বিতর্ক। কারণ ভারতে ভোট প্রচারে ধর্মকে ব্যবহার করা আইনত অপরাধ। সুপ্রিম কোর্টও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের এই কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কাটিহারে সংখ্যালঘুকে জোটবদ্ধভাবে ভোট দেওয়ার আবেদন করে সিধু যে আইন ভেঙেছেন, প্রাথমিক তদন্তে তার প্রমাণ মিলেছে। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে কাটিহারের স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এর আগে শনিবার মোদিকে নিষ্কর্মা ও দেশদ্রোহী প্রধানমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু।
উল্লেখ্য, এর আগে ভোটপ্রচারে গিয়ে ধর্মীয় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে শাস্তি পেতে হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীকে। যোগীকে ৭২ ঘণ্টা এবং মায়াবতীকে ৪৮ ঘণ্টা প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেয় কমিশন। একই কারণে শাস্তি পেতে হয় সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান এবং বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধীকে। সিধুর জবাবে সন্তুষ্ট না হলে, নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধেও একই রকম ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.