সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে কোনও কালেই ভাল সম্পর্ক ছিল না তাঁর৷ প্রথম থেকেই বারবার সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে তাঁদের দ্বন্দ্ব৷ তবে লোকসভা নির্বাচনে দলের শোচনীয় পরাজয়ের পর, সেই লড়াই যেন আরও প্রকট হয়ে উঠেছিল৷ অবশেষে হার মানলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিং সিধু৷ রবিবার টুইট করে জানালেন, মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি৷ এবং গত ১০ জুন সেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে৷
[ আরও পড়ুন: ফের গণপিটুনিতে প্রাণহানি রাজস্থানে, এবার উন্মত্ত জনতা মারে মৃত পুলিশকর্মী]
এক্ষেত্রেও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে তোয়াক্কাই করেননি সিধু৷ নিয়ম অনুযায়ী যে ইস্তফাপত্র ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের কাছে জমা দেওয়ার কথা, সেই ইস্তফাপত্র তিনি পাঠিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে৷রবিবার করা টুইটে সিধু লেখেন, ‘‘কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে জমা দেওয়া আমার ইস্তফাপত্র৷ যা জমা পড়েছিল ১০ জুন ২০১৯-এ৷’’ গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই অমরিন্দর ও সিধুর মধ্যেকার ফাটল আরও চওড়া হয়৷ মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন পাঞ্জাবের পর্যটন মন্ত্রী। বলেন, “কেউ যেন না ভাবেন যে আমি সব কথাই মেনে নেব। সবাইকে বলতে চাই যে আমি কেবল পাঞ্জাবের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ, তাঁরা আমাকে ভরসা করেছেন। তাছাড়া আমাকে যে দুটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেখানে ভাল ফল করেছে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও দলের খারাপ ফলের জন্য একমাত্র আমাকেই দায়ী করা হচ্ছে।” এই কারণেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি যাননি বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন এই ক্রিকেট তারকা।
সিধুর এই মন্তব্যের কিছুক্ষণ মধ্যেই রাজ্যপালের কাছে স্থানীয় প্রশাসন সংক্রান্ত দপ্তরের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এর বদলে তাঁকে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব৷ তবে সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেননি সিধু৷ বরং জানান, তিনি পাঞ্জাবের মানুষের কাছে উত্তর দেবেন৷ অন্য কারও কাছে নয়৷ এদিন সিধু টুইট করে ফের জানান, নিজের পদত্যাগপত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও খুব শিগগিরই জমা দেবেন৷
[ আরও পড়ুন: অসমে ভয়াবহ বন্যাতেও অক্ষত বিষ্ণুমূর্তি, ঐশ্বরিক ক্ষমতার কাছে হার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের! ]
My letter to the Congress President Shri. Rahul Gandhi Ji, submitted on 10 June 2019. pic.twitter.com/WS3yYwmnPl
— Navjot Singh Sidhu (@sherryontopp) July 14, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.