ফাইল ছবি।
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। ডিজি, মুখ্যসচিবকে নোটিস জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত ১৬ মে, বেলা বারোটা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহারা খাদিকুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। আচমকাই কান ফাটানো আওয়াজ কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বাজি কারখানা থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে দেহ। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মতো মঙ্গলবার রাতে এগরার খাদিকুলে পৌঁছন সিআইডি আধিকারিকরা। এই ঘটনায় কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত ভানুর।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা ওই গ্রামেও যান। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দাবি, “গ্রামবাসীদের বক্তব্য অনুযায়ী ওই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরির কাজ চলছিল। পুলিশের সঙ্গে কারখানা মালিকের যোগসাজশে এই কাজ চলত। মোট ১৫ জন কারখানায় কাজ করতেন। প্রশাসনের তরফে উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সুতরাং এখান থেকে স্পষ্ট যে প্রশাসনিক গাফিলতিতেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।” এই মর্মে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় সিআইডি কী পদক্ষেপ করল, জখমদের চিকিৎসায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আহত কিংবা নিহতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের বন্দোবস্ত করা হয়েছে কিনা – সমস্ত তথ্য ওই রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.