Advertisement
Advertisement

দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘ব্যর্থ’ সরকার, রাজ্যকে পাঁচ কোটি জরিমানা পরিবেশ আদালতের

রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আদালতে তলব৷

National Green Tribunal fines Bengal

ছবি: প্রতীকী

Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 29, 2018 2:15 pm
  • Updated:November 29, 2018 2:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিকে টেক্কা দিচ্ছে শহর কলকাতা৷ প্রতিযোগিতা এবার দূষণে৷ চলতি মাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা দূষণের সূচক বলছে, রাজধানীর সঙ্গে টেক্কা দিয়ে দূষণের একক ছুঁয়েছে ৪০০’র দোরগোড়ায়৷ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিটরিং স্টেশনের তরফে জানানো হয়েছে, দূষণের মাত্রা  ৪০০ অতিক্রম করা মানেই তা ‘সিভিয়ার’ ক্যাটেগরিতে পড়ে৷ অর্থাৎ বিপজ্জনক৷ গত ৯ থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সাতদিন কলকাতার দূষণের পরিমাণ রাজধানী দিল্লিকে ছাপিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু, লাগাতার বায়ুদূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও কী করছে রাজ্য সরকার? মূলত এই অভিযোগ তুলে রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল পরিমাণ জরিমানা চাপাল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বা এনজিটি৷ অভিযোগ, পরিবেশ আদালতের দেওয়া নির্দেশ লঙ্ঘন করার জেরে রাজ্যের কাছে ৫ কোটি টাকার জরিমানা চাপানো হয়েছে৷

[পৃথিবীর উপর নজর রাখতে মহাকাশে ‘ছোটা ভীম’ পাঠাল ISRO]

পরিবেশ আদালতের বিশেষ কমিটি ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, পরিবেশ বাঁচাতে অবিলম্বে যাতে পদক্ষেপ নেয় রাজ্য৷ দেওয়া হয়, একগুচ্ছ নির্দেশ৷ ১৫ বছরের বেশি পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি বাতিল, রাস্তার ওপর খোলাখুলি আবর্জনা পোড়ানো বন্ধ করা, অটো ও বেসরকারি গাড়িতে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো৷ কিন্তু, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ পালনে খামতি দেখা দেওয়ায় রাজ্যের ঘাড়ে পাঁচ কোটি টাকার বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ পরিবেশ আইনের ২০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিপুল পরিমাণ এই জরিমানা আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে মেটাতে হবে রাজ্যকে৷ জরিমানা জমা দিতে দেরি হলে প্রতি এক মাসের জন্য এক কোটি টাকা বৃদ্ধি হবে বলেও জানানো হয়েছে পরিবেশ আদালতের তরফে৷ পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় কী কী উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য, আগামী দিনে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, তা জানতে আগামী বছর ৮ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে আদালতে তলব করা হয়েছে বলে খবর৷

Advertisement

[কাশ্মীরে সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা আরও দুই লস্কর জঙ্গি]

সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের এক সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে রাজধানীতে বায়ুদূষণের ফলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ হাজারের কাছাকাছি মানুষের৷ সমীক্ষা অনুযায়ী, বায়ুদূষণে বিশ্বে মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষ দুটি স্থানই দখল করেছে চিনের দুই শহর৷ প্রথম স্থানে রয়েছে বেজিং৷ দ্বিতীয় স্থানে সাংহাই৷ বেজিং ও সাংহাইয়ের পর তৃতীয় স্থানেই রয়েছে দিল্লি৷ বিশ্বের নিরিখে দিল্লি তৃতীয় স্থানে থাকলেও, দেশের হিসাবে প্রথমে রয়েছে রাজধানীর নাম৷ যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ১০,৫০০৷ তার ঠিক পরেই রয়েছে কলকাতা৷ তিলোত্তমায় বায়ুদূষণে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৩০০ জনের৷ বায়ুদূষণের ফলে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে ৪ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ যুগ্মভাবে সমীক্ষা রিপোর্টে চতুর্থ স্থান পেয়েছে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণের সমস্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে চিন, ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে৷ ফলে, পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক তা খুব সহজেই মালুম পাচ্ছেন উপমহাদেশের বাসিন্দারা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement