সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের অবস্থান থেকে প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াল কেন্দ্র সরকার। সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজানো বাধ্যতামূলক করার কোনও প্রয়োজন নেই। এই কথাই সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হল সরকারের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে আগের নির্দেশ প্রত্যাহারের আরজি জানানো হল।
[এর কল্যাণেই শিষ্যাদের সঙ্গে সহবাস করত ধর্ষক রাম রহিম, গ্রেপ্তার চিকিৎসক]
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা শুরুর আগে জাতীয় সংগীত বাজা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সেই ফরমান অনুযায়ী তৎকালীন বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দেশের প্রত্যেক প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় সংগীত বাজাতে হবে আর দর্শকদের উঠে দাঁড়িয়ে দেশের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। এই সিদ্ধান্তের পরই দেশ জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। শেষে গত বছরের অক্টোবর মাসে, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বিশেষ বেঞ্চ ফের মত প্রকাশ করে, জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় ‘দেশপ্রেম দেখাতে’ প্রেক্ষাগৃহে উঠে দাঁড়ানোর কোনও দরকার নেই। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘সমাজে কারও ‘নৈতিক পুলিশগিরির’ দরকার নেই। প্রত্যাশা এক জিনিস, আর তা বাধ্যতামূলক করা আরেক ব্যাপার। দেশপ্রেম বোধ আস্তিনে বয়ে বেড়াতে বাধ্য করা যায় না।’ বিষয়টি সরকারের বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়।
[সমকামী যৌনতা অপরাধ? খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ]
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই পাঁচ পাতার একটি হলফনামা তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় সংগীত বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে সরকার। এর সব দিক খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার জন্য ছয় মাস সময় লাগবে। ততদিন এই নিয়ম প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই অবস্থান বদলের পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার ফের এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
[প্রদ্যুম্ন হত্যাকারী ছাত্র ‘ভোলু’র জামিনের আবেদন খারিজ আদালতে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.