সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯-র ভোটে বিজেপির ঠেকাতে সব বিরোধী দল যে জোটবদ্ধ হবে তেমন সম্ভাবনা বিশেষ একটা দেখছেন না প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। তবে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে এক ছাতার তলায় আনতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে পাওয়ার দাবি করেন। একই সঙ্গে শরদ এদিন কড়া ভাষায় নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন।
[সাঁতরাগাছি দুর্ঘটনায় রেলকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা]
বিরোধী শিবিরের জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে পাওয়ার এদিন বলেন, “অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে যে বিজেপিকে রুখতে সব বিরোধী দল একজোট হয়ে লড়বে। কিন্তু এ ব্যাপারে তেমন কোনও ইতিবাচক প্রচেষ্টা নজরে পড়ছে না। উত্তর থেকে দক্ষিণ দেশের কোনও রাজ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা যাচ্ছে না বিরোধীদের। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ।” পাওয়ারের দাবি, ২০১৯-এর নির্বাচনে জিতে এসে মোদির পক্ষে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ কেন্দ্রে এবার সরকার বদল হবে। একই সঙ্গে সরকার বদল হবে মহারাষ্ট্রেও। পরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলি যদি সরকার গঠন করে এবং নীতিন গড়করি যদি প্রধানমন্ত্রী হন সেক্ষেত্রে তিনি কি গড়করিকে সমর্থন করবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে শরদ বলেন, “আমি বিজেপির কাউকেই সমর্থন করব না। এইচ ডি দেবগৌড়া, আই কে গুজরালের মতো নেতারা দুর্ঘটনাবশত প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। আমি এ ধরনের কোনও দুর্ঘটনার শরিক হতে চাই না।” দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ২০০৪-এর মতো মনে করেন এই এনসিপি নেতা। কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্রে সরকার বদল হলেও দু’ জায়গাতেই কোনও একটি দলের একার পক্ষে সরকার গঠন করা অসম্ভব বলে মনে করছেন পাওয়ার।
রাহুল গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের এই মন্তব্য সম্পর্কে পাওয়ার বলেন, “এটা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয়। রাহুলের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি যে, তাঁকে কেউই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা বলেনি। তবে মোদি সরকার অবশ্যই বদল হওয়া দরকার।” তবে বিরোধীদের জোটবদ্ধ না হওয়াকে তেমন বড় কোনও সমস্যা বলে মনে করছেন না পাওয়ার। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদ সম্পর্কে পাওয়ার জানান, বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন দল ক্ষমতায় রয়েছে। ভোটের পর যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে স্বাভাবিকভাবেই সেই দল থেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। এনসিপি-র বিরুদ্ধে বিজেপির তোলা দুর্নীতি প্রসঙ্গে পাওয়ার পালটা জানান, চার বছর হল মহারাষ্ট্রে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। যদি কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকে তা হলে চার বছরে সেটা কেন খুঁজে বের করা হল না? আসলে বিজেপি শুধুই অসত্যের বেসাতি করে। একমাত্র বিজেপিই নির্বাচনে টাকা ওড়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.