সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশার কথা ভাবছে না মোদি সরকার। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এমন অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়েছেন। কৃষিঋণ মকুব-সহ একগুচ্ছ দাবিতে বারবার প্রতিবাদ যাত্রায় নেমেছেন দেশের একাধিক প্রান্তের কৃষকরাও। কিন্তু তাতে যে বিশেষ লাভ হয়নি, তাই যেন ফের বুঝিয়ে দিলেন নাসিকের এক কৃষক। আর তাই অভিনব কায়দায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের নাসিকের কৃষক সঞ্জয় সাথে ৭৫০ কেজি পিঁয়াজ বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ১০৬৪ টাকা। প্রতিবাদ স্বরূপ সেই অর্থ কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ত্রাণ তহবিলে জমা করে দেন তিনি। বুঝিয়ে দিতে চান, তাঁদের অবস্থা কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তবে মজার বিষয় হল ২০১০ সালে এই কৃষককেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল কৃষি মন্ত্রক। সেসময় ‘উন্নত কৃষক’দের তালিকায় নাম ছিল তাঁর। কিন্তু আট বছর পর পালটে গিয়েছে ছবিটা। বর্তমানে প্রতি কেজি পিঁয়াজে তিনি দাম পেয়েছেন এক টাকার কিছু বেশি। কৃষকদের প্রতি সরকারের ক্রমাগত এই উদাসীনতা আর মেনে নিতে পারছেন না সঞ্জয় সাথে। আর সেই কারণেই এমন প্রতিবাদ তাঁর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে ১০৬৪ টাকা পাঠানোর জন্য আবার তাঁর অতিরিক্ত ৫৪ টাকা খরচও হয়েছে। দিন আনি দিন খাই সংসারের সদস্য কষ্ট করে সে টাকাও প্রতিবাদের জন্য দিয়ে দিয়েছেন।
২৯ নভেম্বর আয়ের অর্থ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। খামে উল্লেখ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নমেরন্দ্র মোদির নাম। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সঞ্জয় বলেন, “এই মরশুমে ৭৫০ কিলো পিঁয়াজ উৎপাদন করেছি। কিন্তু পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে কেজি প্রতি এক টাকা দাম পাই। শেষমেশ অনেক দরাদরি করে এক টাকা ৪০ পয়সায় পিঁয়াজ বিক্রি করি। চারমাস পরিশ্রমের পর এই ফলাফল সত্যিই বেদনাদায়ক। তাই ঠিক করি মোদি সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে পুরো অর্থ দিয়ে দেব। আর সেটাই হবে আমার প্রতিবাদের ভাষা। টাকাটা পাঠাতে গিয়ে আরও ৫৪ টাকা খরচ হয়েছে।” সঞ্জয় এও স্পষ্ট করে দেন যে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এসে মোদি সরকারের প্রতিবাদ করছেন না। বরং সরকারের উদাসীনতাই তাঁকে অবাক করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.