সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল থেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাই যেন সঙ্গী হয়েছিল আপামর দেশবাসীর৷ সকলেরই নজর টিভির পর্দায়৷ কে দখল করবেন দিল্লির মসনদ, তা নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই৷ বৃহস্পতিবারের মতো এমন উল্লেখযোগ্য দিনটি কীভাবে কাটালেন মোদিজায়া যশোদাবেন?
দেশজুড়ে সকাল আটটা থেকেই শুরু হয়েছে ৫৪২টি আসনের ভোটগণনা৷ প্রথম থেকে ট্রেন্ডের নিরিখে এগিয়েছিল গেরুয়া শিবির৷ তবে সকালের দিকে টিভির সামনে বসার সময়ই পাননি মোদি-পত্নী৷ আর পাবেনই বা কী করে? তিনি তখন স্নান সারতে ব্যস্ত৷ ধোপদুরস্ত শাড়ি পরে বাড়ি থেকে ঠিক সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বেড়িয়ে পড়েন৷ যশোদাবেনের ভাই অশোক মোদির বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরের অম্বাদি মাতা এবং মহাকালেশ্বর মন্দিরে যান তিনি৷ সেখানে স্বামীর সাফল্য কামনা করে পুজোও দেন৷ সকাল থেকে উপবাস করেই রয়েছেন তিনি৷ সব ফলাফল জানা গেলে তবে উপবাস ভাঙবেন বলেই স্থির করেছেন যশোদাবেন৷ গুজরাটের মেহসানা ব্রাহ্মণওয়াড়া গ্রামে বাপেরবাড়িতেই থাকেন যশোদাবেন৷ প্রাথমিক স্কুলের দিদিমনি যশোবাদবেন পুজো এবং উপোস নিয়েই ব্যস্ত থাকেন দিনভর৷ সারাক্ষণই ভগবানকে মনপ্রাণ দিয়ে ডাকেন তিনি৷ এদিনও তার অন্যথা হয়নি৷ আবেগ জড়ানো গলায় তিনি বললেন, ‘‘খুশ হুঁ। আজ ম্যায় বহত খুশ হুঁ। আমি তো এটাই প্রার্থনা করে এসেছি।’’
পুজো দিয়ে মন্দির থেকে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তারপর বসে পড়েন টিভির সামনে৷ ট্রেন্ড দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারছিলেন না৷ দুশ্চিন্তা মিশ্রিত আনন্দই যেন দিনভর সঙ্গী ছিল যশোদাবেনের৷ পুজো থেকে উপবাস – সবই স্বামীকে ভাল রাখার জন্য৷আবেগের সুরে বললেন যশোদাবেন৷ সন্ধের পর চোখধাঁধানো মঞ্চে পুষ্পবৃষ্টির মধ্যে দিয়ে যখন হেঁটে আসছিলেন আরও একবার দেশের দায়িত্ব নিতে চলা নরেন্দ্র মোদি, তখন এই আলোর নেপথ্যে কার অবদান, কে-ই বা বুঝবে? একেবারে আদর্শ ভারতীয় নারীর মতোই স্বামীর মঙ্গল কামনায় যশোদাবেনের এই সমর্পণ কিছুটা অপ্রকাশিতই থেকে যাবে হয়ত৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.