সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের লোভে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীত চলছে দেশজুড়ে। বিনামূল্যে পরিষেবার ঢালাও প্রতিশ্রুতির দিচ্ছেন রাজনীতিবিদরা। এই সংস্কৃতি মারাত্মক। দেশের উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকারক এভাবে ভোটের মুখে মিষ্টি মিষ্টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া। এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে (Bundelkhand Expressway) উদ্বোধনের গিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জালাউনে ২৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন মোদি। যা নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৪ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। সেখানেই মোদি বলেন, “রেভডি সংস্কৃতি (Revdi culture) দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর। (রেভডি এক ধরনের শুকনো মিষ্টি। যা উত্তর ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয়।) যাঁরা এই রাজনীতি করেন, তাঁরা কখনওই দেশবাসীর জন্য নতুন এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন বিমানবন্দর, নতুন প্রতিরক্ষা করিডর নির্মাণ করেন না। যৌথভাবে এই ক্ষতিকর সংস্কৃতিকে হারাতে হবে আমাদের। ভারতীয় রাজনীতি থেকে এই সংস্কৃতিকে নির্মূল করুন।”
‘রেভডি সংস্কৃতি’ নিয়ে মোদি বিশেষভাবে সতর্ক করেন দেশের তরুণদের। তরুণ প্রজন্মের প্রতি মোদির বার্তা, সরকার যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, কোনও পরিকল্পনা করে, তবে তা অবশ্যই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে। যা কিছু দেশের জন্য ক্ষতি করে, উন্নয়নের পথ রুখে দেয়, তা থেকে সরে আসতে হবে আমাদের।
মোদির ‘রেভডি’ বচন নিয়ে ইতিমধ্যে আসরে নেমেছেন বিরোধীরা। সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) প্রশ্ন, ‘রেভডি কি অসংসদীয় শব্দ?’ আরও টুইট করেন, “যুবকদের রেভডি থ্যাঙ্কু না দিয়ে চাকরি দিলে দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বাঁচতে পারত সরকার পক্ষ।”
মোদির ‘রেভডি সংস্কৃতি’ মন্তব্যে সরব হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও (Arvind Kejriwal)। তাঁর কথায়, বিনামূল্যে নাগরিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান মোটিই ‘রেভডি সংস্কৃতি’ না। কেজরিওয়াল টুইট করেন, “এই অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠতে পারে। কিন্তু আমার দোষটি কী বলতে পারেন? দিল্লির সরকারি স্কুলগুলোতে বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৮ লক্ষ। আমরা তাদের বিনামূল্য উন্নত শিক্ষা প্রদান করে থাকি। এই পরিষেবা দিয়ে অপরাধ করেছি?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.