Advertisement
Advertisement

চিনকে ‘ঠান্ডা’ করতে সীমান্তে দীর্ঘতম সেতু গড়ল ভারত

কেন সামরিক দিক থেকেও এই নয়া সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ? জানতে পড়ুন৷

Narendra Modi to inaugurate India's longest bridge, which can withstand 60-tonne battle tank, near China border
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 14, 2017 3:10 pm
  • Updated:May 14, 2017 3:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্রের উপর দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে ভারত৷ আগামী ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের দীর্ঘতম সেতুটির উদ্বোধন করবেন৷ ভারত-চিন সীমান্তের খুব কাছে নির্মীয়মাণ এই ব্রিজ ৬০ টনের ব্যাটল ট্যাঙ্কের ওজন বহনে সক্ষম৷ অসমের পূর্ব প্রান্তে নির্মিত এই ব্রিজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রী এনডিএ সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তির উদযাপন শুরু করতে চলেছেন বলে সাউথ ব্লক সূত্রের খবর।

[আর রাখঢাক নয়, এবার প্রকাশ্যেই ভারতকে হুমকি পাক সেনাপ্রধানের]

৯.১৫ কিলোমিটার লম্বা ঢোলা সাদিয়া ব্রিজ নির্মাণের পিছনে কিন্তু সামরিক কারণও রয়েছে৷ চিন-পাক আঁতাতে নির্মিত ইকোনমিক করিডর নির্মাণের ঘোর বিরোধী ভারত৷ কিন্তু ভারতের বিরোধিতা অগ্রাহ্য করে চিন ওই বাণিজ্যিক রুট নির্মাণের কাজ স্তব্ধ করেনি৷ পাল্টা ভারতও এবার চিন সীমান্তে বাড়তি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজুত করার পথে হাঁটবে৷ অসম এবং অরুণাচল প্রদেশ এখন কৌশলগত ভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিনের সঙ্গে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হলে সামরিক সরঞ্জাম-সহ ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সাঁজোয়া গাড়ি দ্রুত যাতায়াতে ওই সেতু খুবই সাহায্য করবে।

Advertisement

নতুন সেতুটির অবস্থান অসমের রাজধানী দিসপুর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে ও অরুণাচলের রাজধানী ইটানগর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু চিন সীমান্ত থেকে আকাশপথে এর দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। মুম্বইয়ের বান্দ্রা-ওয়ারলি সামুদ্রিক সেতুর চেয়েও নয়া ব্রিজটি ৩.৫৫ কিলোমিটার লম্বা৷ এতদিন তেজপুরের কাছে কালিয়াভোমরা ব্রিজ ছাড়া ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে ঢোলা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রর উপর আর কোনও ব্রিজ ছিল না৷ নদীর দুই ধারে যাতায়াতের জন্য জলপথই ছিল একমাত্র ভরসা৷ এই নয়া সেতু অরুণাচল প্রদেশ ও অসমের সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে৷ নয়া সেতুটি সাধারণের জন্য খুলে গেলে অসম ও অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাদের যাতায়াতে অন্তত ৪ ঘন্টা সময় বাঁচবে৷

[বড়সড় সাফল্য ভারতীয় সেনার, গুলিতে ঝাঁজরা লস্কর জঙ্গিরা]

অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল পিটিআইকে জানিয়েছেন, কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নয়া সেতুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ অসম ও অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাও এই সেতু ব্যবহার করে ভারত-চিন সীমান্তে দ্রুত ব্যাটল ট্যাঙ্ক নিয়ে পৌঁছে যেতে পারবে৷ ২০১১ সালে এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়৷ গোটা প্রকল্পের জন্য আনুমানিক ৯৫০ কোটি টাকা খরচ হবে৷ অরুণাচল প্রদেশে কোনও অসামরিক বিমানবন্দর নেই৷ নয়া সেতুটি খুলে গেলে তিনসুকিয়ায় রেল ও ডিব্রুগড় বিমানবন্দরে পৌঁছতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement