Advertisement
Advertisement
নরেন্দ্র মোদি

‘কেন্দ্র ও রাজ্য প্রতিদ্বন্দ্বী নয় পরিপূরক’, সংসদে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

বিজেপিকে বিজেডি ও এনসিপি সাংসদদের থেকে আচরণ শেখার পরামর্শও দেন তিনি।

Modi speaks in Rajya Sabha during discussion on 250th session

নরেন্দ্র মোদি

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:November 18, 2019 4:01 pm
  • Updated:November 18, 2019 4:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কেন্দ্র ও রাজ্য প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, একে অপরের পরিপূরক।’ শীতকালীন অধিবেশনের প্রথমদিনেই রাজ্যসভার ২৫০তম সেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, ‘রাজ্যগুলির দিকে খেয়াল রাখাই দায়িত্ব কেন্দ্রের। পাশাপাশি রাজ্যগুলিরও উচিত কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে মানুষের উন্নয়নে সামিল হওয়া। মনে রাখা উচিত যে রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। বরং একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করলেই দেশের সব মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছবে।’ 

[আরও পড়ুন: হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ, জেএনইউ ছাত্র সংসদের লং মার্চে উত্তপ্ত সংসদ ভবন চত্বর]

বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ করছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্র সুসম্পর্ক বজায় রাখলেও অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে তা রাখে না। কংগ্রেসে ও অন্য আঞ্চলিক দলগুলি প্রতিবাদে সরব হলেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বেশি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রে থাকা বিজেপি সরকার রাজ্যে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে বলে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ ও কেন্দ্রের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে বর্তমান রাজ্যপালকে নিয়ে। তিনি অযথা রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। রাজভবন থেকে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছে। অন্যদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও রাজ্যের শাসকদলের কাজে অসন্তুষ্ট হওয়ার কথা প্রকাশ্যেই প্রকাশ করেছেন বারবার। বেশ কয়েকটি সাংবাদিক বৈঠকে করে ফেলেছেন এর মধ্যে। তবে সম্প্রতি টানাপোড়েন চরমে উঠেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ত্রাণকার্য নিয়ে। রাজ্য সরকার দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়া নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যপালের তরফে। এই বিষয়ে স্পষ্ট তালিকা তৈরি হয়নি বলেও উল্লেখ করেছেন। ঠিক এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য ও কেন্দ্রকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেওয়াটা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

[আরও পড়ুন: বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল শীতকালীন অধিবেশন, ওয়াকআউট কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের]

রাজ্যসভার ২৫০ তম সেশনে বক্তব্য রাখতে উঠে সংসদের উচ্চকক্ষের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “২০০৩ সালে রাজ্যসভার ২০০ তম অধিবেশনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলজি বলেছিলেন, ‘এটা সেকেন্ড হাউস কিন্তু সেকেন্ডারি হাউস নয়।’ আজ আমি অটলজির সেই কথা স্মরণ করিয়ে বলতে চাই দেশের উন্নয়নে এই কক্ষের যথেষ্ট অবদান আছে। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ করেছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বাতিল করেছে। অতীতেও রাজ্যসভা অনেক ইতিহাস তৈরি করেছে। আগামীতেও নতুন নজির তৈরি করে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।”

রাজ্যসভা সাংসদদের আচরণ নিয়েও আজ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।এবিষয়ে নিজের দল–সহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে বিজেডি ও এনসিপি সাংসদদের অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।  সংসদে কীভাবে আচরণ করতে হয় তা শিখতে বলেন। 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement